নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি কন্নড় অভিনেত্রী দিব্যা স্পন্দনা, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির বড় হৃদয়ের বিষয়ে মুখ খুললেন। অভিনেত্রীর পাশাপাশি তিনি একজন লোকসভার প্রাক্তন সদস্য। সম্প্রতি অভিনেত্রী বাবার মৃত্যুর পর আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ঠিক তখনই রাহুল গাঁধী তাঁর মানসিকভাবে সমর্থন জানানোর জন্যে এগিয়ে আসেন। অভিনেত্রী রাহুলের এহেন মানসিকতা দেখে মুগ্ধ। কন্নড় অভিনেত্রী দিব্যা স্পন্দনা একসময় কংগ্রেসের মুখপাত্র ছিলেন। সম্প্রতি কন্নড় টক শো উইকেন্ড উইথ রমেশ সিজন 5-এর একটি এপিসোডে বাবাকে হারানোর বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভেঙে পড়লেন অভিনেত্রী। জানালেন, “আমি বাবাকে হারানোর দুই সপ্তাহ পরেও, আমি সংসদে উপস্থিত হয়েছিলাম। কিন্তু আমি কাউকে কিছুই জানায়নি, এমনকী সংসদের কার্যক্রম সম্পর্কেও কিছু জানতাম না। ধীরে ধীরে সবকিছু শিখেছেন। তখন সবাই আমাকে আস্থা দিয়েছেন।”
আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে, তিনি বলেছিলেন যে, কেউ ছিল না তখন তাঁর পাশে, কিন্তু রাহুল গান্ধি সেই সময় তাঁকে আবেগগতভাবে সমর্থন করেন। তাঁর কথায়, “আমার জীবনে আমার মা সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ, তারপরে আমার বাবা, এবং তৃতীয় রাহুল গান্ধি।”
প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, তিনি তাঁর বাবার মৃত্যুর পরে আত্মহত্যার কথা ভাবছিলেন। তখন তিনি নির্বাচনেও হেরে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে, রাহুল গান্ধি তাঁকে সাহায্য করেন এবং মানসিকভাবে সাহস দেন। মিসেস স্পন্দনা ২০১২ সালে যুব কংগ্রেসে যোগদান করেন৷ তিনি ২০১৩ সালের উপনির্বাচনে কর্ণাটকের মাণ্ড্য লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন৷ তিনি কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান হিসাবে কাজ করেছিলেন কিন্তু পরে পদ থেকে সরে দাঁড়ান। গত বছর, অভিনেত্রী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দেন এবং নিজের প্রোডাকশন হাউস চালু করেন।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই সাংসদপদ খারিজ হওয়ার পর থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন রাহুল গাঁধী। তাঁরা পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল -সহ সমস্ত বিরোধী দল। এছাড়াও দিন কয়েক আগেই মোদি’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতের সুরাত আদালত দুই বছরের জেলের সাজা ঘোষণার পর থেকেই নজিরবিহীন তত্পরতায় রয়েছেন রাহুল গান্ধি।