নিজস্ব প্রতিনিধি: আর মাত্র কয়েকদিন। ৫০ দিনও বাকি নেই তাঁর আসার। ইতিমধ্যেই দেবী আগমনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আর কদিন পর থেকেই পাড়ায় পাড়ায় আলোর রশনাই ছেয়ে যাবে, প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে দেবী বন্দনা গান। গোটা রাজ্যজুড়ে আলোতে আলোতে ভরে উঠবে। আগামী ২০ অক্টোবর থেকে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব শুরু। সারা বছর ধরে এই ৪ টে দিনের অপেক্ষায় থাকেন গোটা জাতি। ধর্ম, জাতি সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় এই উৎসবের আনন্দে। নতুন জামা, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, আড্ডা আর কত কী! যাই হোক, পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে শুরু হবে দেবীপক্ষ। আর দুর্গা পুজোর আগে মহালয়াকে নিয়ে বাঙালির উত্তেজনার শেষ থাকে না।
মহালয়ার ভোর মানেই রেডিয়োয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র-বাণীকুমার-পঙ্কজ মল্লিক শোনা। সেই অভ্যাসের পাশাপাশি টেলিভিশনে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ দেখতেও বেশিরভাগ মানুষ পছন্দ করেন। তবে বেশি উত্তেজনা থাকে, এ বার পর্দায় এই রূপে দেখা যাবে কাকে? যদিও ইতিমধ্যেই দু’টি বাংলা চ্যানেল থেকে জানিয়ে দিয়েছে এবার তাঁদের কে মহিষাসুরমর্দিনী হচ্ছে? কালার্স চ্যানেলে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেখা যাবে কোয়েল মল্লিককে। আরেকটি চ্যানেলে দেখা যাবে ‘জগদ্ধাত্রী’ সিরিয়ালের জগদ্ধাত্রী ওরফে অঙ্কিতা মল্লিককে। এরপর থেকেই শুরু হয় আর ধন্দ।
কারণ একই চ্যানেলে দিতিপ্রিয়া রায়কে দুর্গা রূপে দেখানোর কথা! তাহলে সত্যিটা ঠিক কী? এই প্রসঙ্গে দিতিপ্রিয়া একটি বেসরকারি চ্যানেল কে জানিয়েছে, “এ বারে মহিষাসুরমর্দিনীর গল্পটা সাজানো হয়েছে অন্য ভাবে। বেশ কিছু চমক থাকবে। আমাকে কী ভাবে দেখবেন দর্শক সেটাও চমক। অঙ্কিতাকে তো দেখা যাবেই মহিষাসুরমর্দিনী হিসাবে। সঙ্গে আমাকেও দেখবেন দর্শক। সেখানেই থাকছে সারপ্রাইজ। সবাই অবাক হয়ে যাবেন।” এই মূহুর্তে সদ্য স্নাতক হয়েছেন দিতিপ্রিয়া। স্নাতোকোত্তরের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। সঙ্গে একঝাঁক কাজ রয়েছে তাঁর হাতে।