নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বর্তমানে বহু তারকা অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও যথেষ্ট সক্রিয়। কেউ কেউ রাজনৈতিক মহলে এতটাই সক্রিয়, যার ফলে অভিনয়কে খুব কম বয়সেই জানাচ্ছেন বিদায়, আর এখন রাজনৈতিক দলগুলিরও প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে তারকাদের নির্বাচনে দাঁড় করানোর, তাঁরা যেহেতু মানুষের কাছে জনপ্রিয় তাই ভোটের জন্যেও এগিয়ে থাকবেন। যাই হোক, আগামী ৭ জানুয়ারী বাংলাদেশে দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচন। যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হয়েছেন একগুচ্ছ তারকারা, আছেন ফেরদৌস আহমেদ, মাহিয়া মাহি, জায়েদ খান-সহ একাধিক তারকা প্রার্থী। কিন্তু আসন্ন বাংলাদেশের সাংসদ নির্বাচনে একের পর এক মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েও বাদ পড়ছিলেন ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রির চর্চিত নায়িকা মাহিয়া মাহি। নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েও কাজের কাজ হয়নি। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও মনোনয়নপত্র পাননি মাহি। তবুও হাল ছাড়েননি তিনি। দিন কয়েক আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে রাজশাহী-১ আসনের জন্য নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটাও হাতছাড়া হয়েছিল। এরপর মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করেছিলেন তিনি।
অবশেষে দিন কয়েক আগেই মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পান তিনি। কিন্তু প্রচারে নেমেই একের পর এক অভিযোগ কুড়চ্ছিলেন অভিনেত্রী। গত সপ্তাহে তাঁকে জুতো দিয়ে পেটানোর হুমকিও উঠেছিল। যে কারণে মধ্য রাতেই অভিনেত্রী থানায় ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় অতিরিক্ত মাইক ব্যবহার করার কারণে তাকে জরিমানাও করেছিল আদালত। এতকিছুর পরেও তিনি আশা ছাড়েননি। এমনকী তিনি এখন বলেছেন, অভিনয় ছাড়বেন। সম্প্রতি স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে ভোটারদের কাছে গিয়ে সিনেমা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার কথা দিলেন মাহি। তার নির্বাচনী প্রতীক ট্রাক। মঙ্গলবার রাজশাহীর গোদাগাড়ি এলাকার গোগ্রাম ইউনিয়নে ভোট চাইতে গেলে একজন মাহিকে বলেছিলেন যে, ‘ভোটের পর নেতারা দেশছাড়া হয়ে যায়, এটা আমরা কিন্তু দেখব না! ভোটার আগে যেভাবে মানুষের কাছে যাচ্ছেন, ভোটের পরেও যেন এমনই দেখি।’
বাংলাদেশ গণমাধ্যম অনুযায়ী এরপরই মাহির সাফ জবাব, ‘আমার বাসা মণ্ডমালা। আমি এখানেই থাকব। আমি তো আর সিনেমা করব না। আমার বাচ্চা হয়ে গেছে, সংসার আছে। আমি এখন আপনাদের নিয়ে থাকব। আমি ঠিক করে রেখেছি দেশের অনেক মহিলা ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। আমি জিতলে এই এলাকার মেয়েদের শিখাবো ঘরে বসে কিভাবে লাখ লাখ টাকা আয় করতে হয়। কাজের বরাদ্দ এলে নেতা খেয়ে ফেললে সে নেতাকে চেঞ্জ করতে হবে। ১৫ বছর তো একজনকে নেতা করে রাখছেন। ভুল করেছেন কিনা সেটা আপনারা ভালো জানেন। যদি আমি জয়ী হই আগে পানি ও এই এলাকার রাস্তা নিয়ে কাজ করবো। যদি কাজ না করি তাহলে আবার পরের বার ভোট চাইতে এলে আমাকে বের করে দেবেন। এমন কাজ করবো ভবিষ্যতে যাতে ভোট চাইতে না আসতে হয়।”