নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আগের থেকে অনেকটা ভালো আছেন। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানালেন জাস্টিন বিবার। ইন্সাটাগ্রামে নিজের অসুস্থতার জকথা নিজেই জানিয়েছিলেন জাস্টিন। মুখের পক্ষাঘাতজনিত সমস্যার কথা সঠিকভাবে না জানা গেলেও ছিল নানাবিধ অসুবিধা। এর ঠিক তিনদিন পর নিজেই জানালেন তিনি যে বিরল এক রোগে ভুগছেন যার নাম র্যামসে হান্ট সিনড্রোম। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন, মুখের অস্বস্তিও কাটছে বলে জানিয়েছেন শিল্পী। জীবনের এই ভয়ঙ্কর ঝড় কাটিয়ে উঠে সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
নিজের অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার পাশাপাশি নিজের ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে তিনি জানিয়েছেন, ”আমি কেমন আছি তা আমি সংক্ষেপে জানাতে চাই। প্রত্যেক দিন একটু একটু করে ভালো হয়ে উঠছি এবং সমস্ত অসুবিধা ও অসুস্থতার মাঝেও আমি আমার সৃষ্টিকর্তার মাঝেই সমস্ত শান্তি খুঁজে পেয়েছি। তিনিই আমার জীবনের অন্ধকার দিক সম্পর্কে জানেন। এবং তিনি ক্রমাগত আমাকে তাঁর বাহুতে আসার জন্য ডাক দিয়ে চলেছেন। আমি আর কাউকেই তাই চাই না। আর এই অনুভূতিই আমাকে শান্তি দেয় এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে। আমি জানি এই ঝড় থেমে যাবে। কিন্তু ভগবান যিশু আমার সঙ্গেই রয়েছেন।” এমনটাই এদিন নিজের ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে লিখলেন জাস্টিন বিবার।
শুক্রবার বিবার জানান যে তিনি বিরল স্নায়বিক অসুস্থতায় জর্জরিত যা র্যামসে হান্ট সিনড্রোম নামে পরিচিত। আর শিল্পীর এই অসুস্থতার খবরেই সারা বিশ্বে এক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই বিরল রোগটি প্রথম ১৯০৭ সালে এই একই নামের এক চিকিৎসকের দ্বারা আবিস্কার করেন। যা মুখকে পক্ষাঘাতগ্রস্থ করতে পারে। তার সঙ্গে মুখে নানারকম সমস্যা, র্যাশ, ব্যাথাসহ বহু সমস্যা তৈরি হয় যা অত্যন্ত কষ্টকর ও সহ্য করা জায়না এক এক সময়। যদিও এই সমস্যা ব্যাক্তিবিশেষে ভিন্ন হয়। হঠাৎ এমন অসুস্থতার জেরে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে কনসার্ট বাতিল করতে বাধ্য হন বিবার। অনুষ্ঠান দুটি যথাক্রমে সোম ও মঙ্গলবার হওয়ার কথা ছিল।