নিজস্ব প্রতিনিধি: টলিউডে একের পর এক বিপর্যয়। প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মা। মুম্বই থেকে সমস্ত শুটিং বাতিল করে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন ওয়েব রাজা। যিনি সম্পর্কে কিংবদন্তি অভিনেতা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের ছেলেও বটে। যিনি বহু বছর আগেই গত হয়েছেন। এবার চলে গেলেন তাঁর স্ত্রী। অনাথ হয়ে গেলেন সুপারস্টার অভিনেতা। যার জনপ্রিয়তার দৌড় এখন শুধু বাংলায় আটকে নেই, পৌঁছেছে বলিউড থেকে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি পর্যন্তও। দক্ষ অভিনয় আজ তাঁর প্রধান সম্পত্তি। তাই বছরের অধিকাংশ সময়ে তাঁকে কলকাতার বাইরেই থাকতে হয়। তাই মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে সমস্ত শুটিং বাতিল করে দিয়েছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee)। বুধবার রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মা তথা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী, অঞ্জলি চট্টোপাধ্যায়।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।জানা গিয়েছে, মায়ের প্রয়াণের শোক সামলে উঠলেও এখনও কলকাতায় পৌঁছননি তিনি। গত এক মাস ধরেই দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেতার মা। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন অঞ্জলিদেবী। সম্প্রতি পড়ে গিয়ে পায়ে চোটও পেয়েছেন। আর বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণেই দীর্ঘদিন ধরে স্বল্প আহারি ছিলেন অভিনেতার মা। তবে শেষরক্ষা আর হয়নি! ১৩ মার্চ, বুধবার রাতে চিরতরে বিদায় নিলেন অঞ্জলি চট্টোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই শোকাচ্ছন্ন অভিনেতার গোটা পরিবার। মায়ের মৃত্যু সত্যি প্রতিটি সন্তানের জন্যই দুঃখজন। শাশ্বতরা দুই ভাই। তবে অঞ্জলিদেবী থাকতেন শাশ্বতর ছোট ভাই শুভদীপ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার বেলায় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে ভেঙ্গে পড়লেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ভাই শুভদীপ চট্টোপাধ্যায়।
শাশুড়ির মৃত্যু প্রসঙ্গে শাশ্বতপত্নী মহুয়া চট্টোপাধ্যায় জানান, অভিনেতার মায়ের টুকটাক সমস্যা ছিল। কিন্তু কোনওটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছয়নি। কিন্তু পায়ের চোটটা থেকেই সমস্যা বেড়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাচ্ছিল। শেষমেশ আর বাড়ি ফেরানো হল না। স্বামীর কাছেই চলে গেলেন অঞ্জলি দেবী। ২০০৭ সালে মারা গিয়েছেন স্বর্ণযুগের জনপ্রিয় অভিনেতা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়। তাই বাবা-মা আর কেউই রইলো না অভিনেতার। অনাথ হয়ে গেলেন।