নিজস্ব প্রতিনিধি: চলছিল পুলিশের অনুমতি নিয়ে রাস্তার মধ্যে ওয়েব সিরিজের শুটিং। কিন্তু সেই শুটিং চলাকালীন সময়েই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। আর তাতেই পায়ের হাড় ভেঙে চুরমার হল নায়িকার। সেই সঙ্গে আহত হলেন সিরিজের নায়ক ও দুই সহ অভিনেতা। তবে এই ঘটনা নিছকই দুর্ঘটনা নাকি তা ইচ্ছাকৃত ভাবে করানো হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন টলি অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। তাঁর পায়ের হাড় ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। আহত হয়েছেন অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী। তবে তাঁর আঘাত গুরুতর নয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ শুটিং চলাকালীন সময়ে এক বাইক চালক বাইক নিয়ে সজোরে ঢুকে পড়ে ধাক্কা মারেন প্রিয়াঙ্কা ও অর্জুনকে। যদিও সেই বাইকারোহীকে ধরতে পারা যায়নি। তবে পুলিশ তার অনুসন্ধান শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নিউটাউনের রাস্তায় ‘মহাভারত মার্ডারস’ নামে একটি ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং করছিলেন প্রিয়াঙ্কা এবং অর্জুন। সেই সময় আচমকাই শুটিংয়ের সেটে ঢুকে পড়ে এক বেপরোয়া বাইক। কর্ডন ভেঙে সরাসরি তা ধাক্কা মারে প্রিয়াঙ্কা এবং অর্জুনকে। ধাক্কা লাগে আরও ২ সহঅভিনেতারও। বাইকের ধাক্কায় প্রিয়াঙ্কা ও অর্জুন দু’জনেই ছিটকে পড়েন রাস্তায়। তার জেরেই গুরুতর আহত হন প্রিয়াঙ্কা। চোট পান অর্জুনও। চারজনকেই এরপর দ্রুত বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন এক্স-রে করে তাঁরা দেখেছেন প্রিয়াঙ্কার পায়ের হাড় ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে গিয়েছে। শনিবার সকালেই তাই তাঁর পায়ে অস্ত্রপচার করা হবে। তবে অর্জুনের চোট গুরুতর না হওয়ায় তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি দুই অভিনেতাকেও প্রাথমিক শুশ্রূষার পরে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটলো। পুলিশ সূত্রের খবর বাইকচালক মত্ত অবস্থায় ছিল। ধাক্কা মেরেই উধাও হয়ে যায় সে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। আপাতত বন্ধ রয়েছে ওই ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং। কিন্তু প্রশ্ন এখানেই, পুলিশ কী করে নিশ্চিত হচ্ছে যে বাইক চালক মত্ত অবস্থায় ছিল? ইচ্ছাকৃত ভাবেও তো এই ঘটনা ঘটানো হতে পারে! দক্ষিণ কলকাতার বুকে রাসবিহারীর মোড়ের কাছে অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গ এখনও টাটকা শহরবাসীর মনে। সেই দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল মডেল সোনিকা সিংয়ের। মূলত র্যাশ ড্রাইভিংয়ের জেরেই সেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। অতি দ্রুত গতিতে যেতে গিয়ে সেদিন গাড়ির ওপর থেকে কার্যত নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন বিক্রম। সৌভাগ্যবশ্বত শুক্রবার রাতে সেই রকমের বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে নিরাপত্তার প্রশ্ন এক্ষেত্রে যেমন উঠছে তেমনি বেপরোয়া বাইক চালনার ক্ষেত্রেও যে লাগাম টানা যায়নি সেটাই কিন্তু এই দুর্ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।