নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশের কিং খান শাকিব খান, প্রতিনিয়ত সংবাদের শিরোনাম তাঁর দখলে রয়েছে। ব্যক্তি গত হোক বা পেশাগত হোক সবেতেই তিনি বিতর্কিত। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর দুটি স্ত্রী এবং দুটি সন্তান। কিন্তু কারুর সঙ্গেই সম্পর্ক নেই এখন, তবে ছেলেদের প্রতি সমস্ত কর্তব্য তাঁর বর্তমানে। গতকালই বড় ছেলে জয়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শাকিব। কিছুদিন আগে বর্তমান স্ত্রী বুবলীর সঙ্গে তিনি আর ঘর করবেন না জানিয়ে দিলেও ছেলের জন্যে কর্তব্য করতে কখনই পিছপা হন না তিনি। বড় ছেলের জয়ের স্কুলের ছোট ছেলে বীরকে ভর্তি করিয়েছেন তিনি। আবার মাস কয়েক আগে প্রাক্তন স্ত্রী অপু বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক জোড়া লাগার একটি গুঞ্জন ছড়িয়েছিল।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনই কোনও প্রতিক্রিয়া জানান নি তারকা জুটি। এদিকে বেশ কয়েকজন প্রযোজক আবার তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছেন। কারণ শাকিব খানের বেশ কয়েকটি ছবির শুটিং শেষ না হওয়ায় বছরের পর বছর আটকে রয়েছে। যার জন্যে নাকি দায়ী নায়ক নিজেই। সবকটি সিনেমার ২০ থেকে ৮৫ ভাগ শুটিং শেষ হওয়ার পরেও শিডিউল জটিলতার কারণে বাকি কাজ শেষ হয়নি। যার ফলে বিপুল লোকসানে পড়েছেন প্রযোজকেরা। এসব ছবির প্রযোজক ও পরিচালকের সবাই নায়ক শাকিব খানকে দায়ী করেছেন। বড় অঙ্কের লোকসানের মুখে পড়ে প্রযোজকদের কেউ কেউ স্পষ্ট হুঙ্কার দিয়েছেন, শাকিব খানের নামে মামলা করবেন তাঁরা। ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের ‘মাই ডার্লিং’ ছবিটির শুটিং শুরু করেছিলেন পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে ছবির ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়। এরপরই ছবিটি আটকে যায়।
এখনও পর্যন্ত নায়ক-নায়িকার শিডিউল পাচ্ছেন না তিনি। যার ফলে প্রযোজক কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও শাকিব খান বাকি শুটিং শেষ না করেননি।বাধ্য হয়ে ২০১৮ সালের ২০ মার্চ ছবির প্রযোজক মনিরুজ্জামান চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ও শিল্পী সমিতিকে শাকিব-অপুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলেও তাতে কোনোরকম লাভ হয়নি। এইভাবে পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও কোনও সুরাহা হয়নি বিষয়টির।