নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার দুপুর ৩ টে নাগাদ ঘোষণা হয়ে গেল লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। গোটা দেশজুড়ে ৭ দফায় ভোট, বাংলায়ও ৭ দফায় ভোট। রাজনীতি ও বিনোদন জগতের মেলবন্ধন বহুদিনের। বিনোদন দুনিয়া থেকে অনেকেই রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন, তবে কেউ কেউ সফলতা পেয়েছেন, আবার কেউ কেউ রাজনীতিতে নেমে অভিনয়কে বিদায় জানিয়েছেন। যার মধ্যে একজন অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। বহুদিন ধরেই মা মাটি মানুষের সঙ্গে রয়েছেন অভিনেত্রী। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন তারকা নেত্রী। যেখানে এতদিন দাপট চলেছে অনুব্রত মণ্ডলের। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন জেলবন্দী।
তাই এবার তাঁর জায়গায় প্রতিস্থাপিত হলেন শতাব্দী রায়। হাতে মাত্র আর কিছুদিন। ইতিমধ্যেই ঠাকুরের নাম করে প্রচারে নেমে পড়েছেন সকল প্রার্থীরা। যেমন আজ থেকে প্রচার শুরু করলেন তৃণমূলের নয়া প্রার্থী রচনা বন্দোপাধ্যায়। এদিকে গতকাল থেকেই শুটিংয়ের সমস্ত ব্যস্ততা কাটিয়ে ঘাটালের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে প্রচার চালিয়েছেন তারকা সাংসদ দেব।এদিকে শনিবার নিজের এলাকার পীঠস্থান মহাপীঠ তারাপীঠে মা তারাকে অঞ্জলি দিয়ে প্রচারে নামলেন শতাব্দী রায়। সাদা-লাল গরদের শাড়ি, মাথায় সিঁদুর পরে শুভকাজে নামার আগে মায়ের দর্শন করলেন তারকা নেত্রী। তাঁকে দেখতে স্বাভাবিকভাবেই ভিড় জমল এলাকার বাসিন্দাদের। বীরভূমে ভোট হবে চতুর্থ দফার দিন ১৩ মে। এদিন বীরভূমের প্রচার শুরুর আগে ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে তারাপীঠে পুজো দিলেন। এরপর তারাপীঠ সংলগ্ন ফুলি ডাংগা মাজারেও যান তিনি। সেখান থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন তারাপীঠে একটি বেসরকারি হোটেলে কর্মী সভার মধ্যে দিয়ে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর এলাকাবাসীদের উদ্দেশ্যে শতাব্দী রায় বললেন, সারা বছর তিনি মানুষের পাশে থাকেন, তাই জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত।
এদিকে মালদহ উত্তরের এবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস অফিসার প্রসূন বন্দোপাধ্যায়। যিনি একাধারে জনপ্রিয় অভিনেতাও বটে। তিনিও শনিবার থেকে প্রচার শুরু করেছেন। রাজনীতিতে নামার আগেই পুলিশ কর্মরত IG পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রসূন বন্দোপাধ্যায়। আর এদিন প্রচারে গিয়েই নিজের এলাকাবাসীদের উদ্দেশ্যে অভিনেতা বলেন, ‘ম্যাচ হুঁ না’, আমি এসে গিয়েছি সুতরাং আর কারুর কোনও চিন্তা নেই। এত বিএসএফ, প্যারা মিলিটারি— সবাইকে বলছি, আইনের মধ্যে থাকুন। আইনের মধ্যে থাকুন। আমরা আইনের মধ্যে আছি। নির্বাচন ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার’ হোক।’