নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বিশ্বকাপের পরেই ‘৯৭৪ স্টেডিয়াম’টি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার প্রশাসন। কোনও একটি দেশকে স্টেডিয়ামটি অনুদান হিসেবে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। কাতার প্রশাসনের কাছে ওই স্টেডিয়ামটি অনুদান হিসেবে চাইল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সোমবার সংস্থার সাধারণ আবু নাইম সোহাগ সাংবাদিকদের এ খবর জানিয়েছেন। ঢাকায় অবস্থিত কাতার দূতাবাসের সঙ্গে এ বিষয়ে বেশ কয়েক দফা আলোচনাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত ৯৭৪ স্টেডিয়ামটি অনুদান হিসেবে কোন দেশকে দেওয়া হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি কাতার প্রশাসন।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে মোট আটটি নতুন স্টেডিয়াম গড়েছে কাতার সরকার। তার মধ্যে বিশ্বের স্থপতিকার ও দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে ৯৭৪টি শিপিং কন্টেনার ও স্টিল দিয়ে তৈরি ‘৯৭৪ স্টেডিয়াম’টি। দোহা থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে পারস্য সাগরের তীর ঘেঁষে নির্মাণ করা স্টেডিয়ামের প্রথমে নাম রাখা হয়েছিল রাশ আবু আবুদ স্টেডিয়াম। পরে নাম বদল করা হয়। ২২ নভেম্বর মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল এই অভিনব স্টেডিয়ামের। ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ড এবং আর্জেন্টিনা ও পোল্যান্ডের ম্যাচসহ ৭টি খেলা হয়েছে স্টেডিয়ামটিতে।
সোমবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ সাংবাদিকদের বলেন, ‘কাতার প্রশাসন ৯৭৪ স্টেডিয়াম’টি অনুদান হিসেবে কোনও দেশকে দিতে চায় এমন খবর শুনে আমরা প্রাথমিকভাবে কাতারের কাছে স্টেডিয়াম চেয়ে রেখেছি। একাধিকবার ঢাকার কাতার দূতাবাসের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত স্টেডিয়ামটি পেলে কোথায় বসানো হবে জানতে চাওয়া হলে বাফুফে’র সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্টেডিয়ামটি পেলে কোথায় বসানো হবে তা নিয়ে আগামিকাল মঙ্গলবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসছি। জায়গার সমস্যা হবে না বলেই বিশ্বাস।’