আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাতারের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে রামধনু বাহুবন্ধনী পরেই মাঠ থেকে সরসরি সম্প্রচার করে কুনজরে বিবিসির ক্রীড়া সাংবাদিক অ্যালেক্স স্কট। ইংল্যান্ড বনাম ইরান ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার করছিলেন অ্যালেক্স। ম্যাচ ছিল কাতারের খালিফা স্টেডিয়ামে। অ্যালেক্স জানিয়েছে, সমকামীদের প্রতি কাতারের বিদ্বেষমূলক আচরণের প্রতিবাদ জানাতেই তিনি রামধনু রঙের বাহুবন্ধনী পরে ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রামধনু রঙের বাহুবন্ধনী পরে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড-সহ সাতটি দল। সিদ্ধান্ত ইংল্যান্ড নিলেও বাকি ছয়টি দল তাদের সমর্থন জানায়। ইংল্যান্ডের এই বাড়াবাড়ির খবর কানে যায় ফিফার। ফিফা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রামধনু বাহুবন্ধনী পরে মাঠে খেলতে নামলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। ফিফা আয়োজিত কোনও টুর্নামেন্টে তারা অংশ নিতে পারবে না। ফিফার হুমকির ধাক্কায় ইংল্যান্ড ও তার সমর্থনকারী দেশের অধিনায়কেরা সিদ্ধান্ত বদল করেন। জানিয়ে দেন, ফিফার গাইডলাইন মেনেই তারা বাহুবন্ধনী পরে খেলতে নামবে।
ইংল্যান্ডের বাধ্যবাধকতা থাকায় তারা ফিফার কাছে নাকখত দিয়েছে। বিবিসির ক্রীড়া সাংবাদিকের সে অর্থে বাধ্যবাধকতা নেই। অ্যালেক্স স্কট জানিয়েছে, রামধনু রঙের বাহুবন্ধনী পরে তিনি ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার করবেন সেটা তিনি তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে বিন্দুমাত্র আপত্তি আসেনি। উল্টে তারা সমর্থন করেছে।
অন্যদিকে, ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফ্যানিতো জানিয়েছেন, সমকামীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গীর বদল নিয়ে তিনি কাতার সরকারের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। অনুরোধ করেছেন তাদের মনোভাব বদলের।
আরও পড়ুন আর্মব্যান্ড নিয়ে ফিফার সঙ্গে তীব্র সংঘাতে ইংল্যান্ড, ওয়েলস