আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালীন কোনও না কোনও বিপত্তি ঘটবে, এমন আশঙ্কা ছিল। সেই আশঙ্কা সত্যি হল।
কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ইকুয়েডোরের দর্শকেরা বিয়ারের দাবিতে চিৎকার শুরু করে। তাদের সেই চিৎকারে গলা মেলায় বাকিরাও। এদের সকলের দাবি – বিয়ার দিতে হবে। আর ম্যাচ কাতার হেরে যাওয়ায় সেই দাবি আরও জোড়াল হয়ে ওঠে। খেলা চলাকালীন মাঝপথেই অনেকে স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে যায়। স্টেডিয়ামের বাইরে গিয়ে তারা বিয়ারের দাবিতে গলা ফাটায়।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে কাতার একাধিক নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশিকার মধ্যে ছিল ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামে বসে সুরা পান করা যাবে না। ম্যাচ শুরুর আধঘণ্টা আগে ও ম্যাচ শেষ হওয়ার আধঘণ্টা বাদে সুরাপ্রেমীরা সুরায় গলা ভেজাতে পারেন। পরবর্তীকালে ফিফা জানিয়ে দেয়, কাতারে বিশ্বকাপ চলাকালীন কোনওভাবেই সুরায় গলা ভেজানো যাবে না। অনেকে মনে করছেন, ফিফাকে এই নির্দেশিকা জারির জন্য কাতারের তরফ থেকে চাপ দেওয়া হয়েছিল। যদিও ফিফা সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন, আয়োজক দেশের তরফ থেকে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। ফিফা স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যদিও একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টেডিয়ামে সুরা বিক্রির জন্য বিশেষ একটি কাউন্টার খোলা হয়েছে। ফ্যান জোনে যারা থাকবেন, তারা সুরা পান করতে পারে। ফলে, বিশ্বকাপে সুরাপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়েছে না হয়নি, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
আরও পডু়ন কাতার বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামে দর্শকদের বিয়ার পানে নিষেধাজ্ঞা