নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বাধীনতা দিবস (INDEPENDENCE DAY) বললেই মনে আসে ক্ষুদিরামের (KHUDIRAM BOSE) কথা। অকুতোভয় এই তরুণ যৌবনের শুরুতেই হাসি মুখে উঠেছিলেন ফাঁসির মঞ্চে। গত ১১ অগাস্ট সদ্য পেরিয়েছে তাঁর ১১৫ তম প্রয়াণ দিবস। তাঁর বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড সকলেরই জানা। তবে তাঁর জন্মস্থান নিয়ে রয়ে গিয়েছে ধোঁয়াশা। কবে নিশ্চিত করে জানা যাবে তাঁর জন্মস্থান? এই প্রশ্নই থাকল ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে।
কেউ বলেন, তাঁর জন্মস্থান কেশপুরের মোহবনিতে। আবার কেউ বলেন, তাঁর জন্মস্থান মেদিনীপুরের হবিবপুরে। কিন্তু কোনটা ছিল ভিটে বাড়ি। আজও তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। দুটি জায়গাতেই লেখা রয়েছে, ক্ষুদিরাম বসুর জন্মভিটে। রয়েছে ফলক। মেদিনীপুর শহরের হবিবপুরে রয়েছে তাঁর আবক্ষ মূর্তি। আর কেশপুরের মোহবনীতে রয়েছে তাঁর পূর্ণাবয়ব মূর্তি। মেদিনীপুরের বাসিন্দাদের দাবি, বীর ক্ষুদিরামের জন্মভিটে এই মেদিনীপুরেই। আবার কেশপুরের বাসিন্দাদের দাবি, বীর ক্ষুদিরামের জন্মভিটে রয়েছে মোহবনীতেই। সত্যি জন্মভিটে কোন স্থান, তা জানতে গবেষণা সত্যিই দরকার। কারণ তরুণ বিল্পবী যে পশ্চিম মেদিনীপুর তথা অখণ্ড মেদিনীপুর, রাজ্য ও দেশের গর্ব।
তাঁর জন্মের সময় তাঁকে ৩ মুঠো খুদের বিনিময়ে তাঁর মা লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবী তুলে দিয়েছিলেন দিদির হাতে। সেই বড় বোনের কাছেই ছোট থেকে বেড়ে উঠেছিলেন বীর বিপ্লবী। উল্লেখ্য, তাঁর ফাঁসির পরে বাংলার তাঁতিরা ধুতি তৈরি করে তার ধারে লিখে দিতেন ‘ক্ষুদিরাম’। জনপ্রিয় ছিল এই বিশেষ ধুতি। ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে আবেদন, উদ্ধার হোক তাঁর প্রকৃত জন্মভিটে। আর একটা আবেদন, দেশমাতাকে স্বাধীন করার যে মহানব্রত তিনি নিয়েছিলেন, সেই ভূমিকাকে ছোট করে ‘বাড়ে উঠে ক্ষুদিরাম’ বা ‘বাড় খেয়ে ক্ষুদিরাম’ বলা বন্ধ হোক।