আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাবা যশবীর ডাক্তার। মা ফার্মাসিস্ট। ছিল ওষুধের দোকান। জন্ম-সূত্রে পাক-পঞ্জাবের বাসিন্দা। ১৯৬০ সালে পরিবার চলে আসে ব্রিটেন। সেখানই পাকাপাকিভাবে শুরু হয় বসবাস। সেই পরিবারের ছেলের হাতেই শাসিত হবে ব্রিটেন। যে ছেলে গরমের ছুটিতে ওয়েটারের কাজ করত। মনে হয় না নতুন করে তাঁর নামের উল্লেখ করার দরকার আছে।
অত্যন্ত মেধাবী। গ্র্যাজুয়েশনে বিষয় ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন এবং অর্থনীতি।ভর্তি হয়েছিলেন লিঙ্কন কলেজে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাচলাকালীন কনজারেভেটিভ পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ। নিয়েছিলেন ইন্টার্নশিপ। ফলে, রাজনীতির হাতেখড়ি তরুণ বয়সেই। পরবর্তীকালে স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলব্রাইট স্কলার।
এমবিএ পড়ার দৌলতে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত গোল্ডম্যা স্যাচ কোম্পানির শীর্ষপদে ছিলেন। পরবর্তীকালে যোগ দেন চিল্ড্রেন ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ম্যানেজমেন্টে। ছিলেন মাত্র কয়েক মাস। পরে একটি ফার্মে যোগদান করেন। সেই ফার্মে যোগদানের সঙ্গে ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ।
এই যোগাযোগের কাহিনি বেশ মজার। কর্মসূত্রে সুনক যে ফার্মে যোগদান করে সেই সংস্থার মালিক প্যাট্রিক ডেগোর্সে ক্যাটাম্যারান ভেঞ্চার্স নামে একটি ফার্মের ডিরেক্টরও ছিলেন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সেই ফার্মের মালিক ছিলেন নারায়ণমূর্তি। সেই সূত্রে নারায়ণমূর্তির পরিবারের সঙ্গে তৈরি হয় একটা সুক্ষ্ম যোগাযোগ। পরের কাহিনি আমাদের সবার জানা। নারায়ণমূর্তির জামাই সুনকের হাতে উঠে এল আরও বড় দায়িত্ব। সামলাতে হবে দেশ। কনজ়ারভেটিভ পার্টির সদস্য ঋষি ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীও বটে।
আরও পড়ুন ঋষি-বাক্য শোনার অপেক্ষায় ব্রিটেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু প্রচার