আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রথমে খরা এখন বন্যা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছে হার মানতে হয় সবাইকেই। ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে সোমালিয়া। বিগত ৪ বছর খরার পর আকস্মিক ভারি বর্ষণ। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। বন্যায় ভেসে গিয়েছে সোমালিয়ার বসত বাড়িগুলি। গৃহহীন প্রায় ৫ লাখেরও বেশি মানুষ। বাড়তে পারে মৃতের সংখ্য়া।
রাষ্ট্রপুঞ্জের কার্যালয় ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, এল নিনো এবং ভারত মহাসাগরের দ্বিমেরুকরণের সংমিশ্রণে অস্বাভাবিকভাবে বৃষ্টিপাত বেড়েছে সোমালিয়াতে। ফলে বেশকিছু শহর, গ্রাম, খামার এবং চারণভূমি সবই জলের নীচে তলিয়ে গেছে। এটিকে এক শতাব্দীর মধ্যে একবার হওয়া ঘটনা বলে বর্ণনা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
সোমালিয়ার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি হলো দক্ষিণ-পশ্চিমের আঞ্চলিক রাজধানী বাইদোয়া শহর। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে, দুর্ভিক্ষের সময় এ অঞ্চলের জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মারা গিয়েছিলেন। এজন্য এটিকে ‘মৃত্যুর শহর’ও বলা হয়।
অন্যদিকে শুক্রবার পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা আফ্রিকান আবহাওয়া দফতরের। এতে বন্যা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ফলে মৃত্যু ও ধসের সংখ্যাও বাড়বে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি দফতরের অনুমান, সোমালিয়ার জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ এই বছরের শেষ নাগাদ ভয়ানক খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হবে। দ্য গার্ডিয়ানের তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, কয়েক লাখ মানুষ সামাজিক স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। বাড়তে পারে মৃতের সংখ্য়া। ভেসে গিয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। বিপর্যয় সোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দিয়েছে আফ্রিকান সরকার।