নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রসঙ্গ ‘মিসাইল দুর্ঘটনা’, আর তার জেরেই ফের বদলেছে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যেকার সম্পর্কের সমীকরণ। দিন কয়েক আগেই পাকিস্তান দাবি করে যে ভারত তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে এবং ভারতের একটি মিসাইল প্রায় ১২৪ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে পাকিস্তানের খানেওয়াল জেলায় পড়েছে। পাকিস্তানের এই অভিযোগ মেনে নিয়ে ভারতের তরফ থেকে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় যে এটা একটা দুর্ঘটনা। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ওই মিসাইলটি ভুল করে নিক্ষেপ হয়ে গিয়েছে এবং সেটা পাকিস্তানে গিয়ে পড়েছে। কিন্তু ভারতের এই বিবৃতিতে যখন কার্যত নাখুস পাকিস্তান ঠিক তখনই ভারতের পাশে এসে দাঁড়াল আমেরিকা।
সম্প্রতি এই মিশাইল বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে। ইতিমধ্যেই হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে এবং মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনও ইঙ্গিত নেই যাতে মনে হতে পারে যে ভারত যা করেছে জেনেবুঝেই করেছে। ভারতের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে যে এটা একটা দুর্ঘটনা। আমাদেরও তাই মনে হচ্ছে যে এটা একটা নিছক দুর্ঘটনা ছাড়া কিছুই নয়।’
তবে এই মিসাইল বিতর্ক নিয়ে আমেরিকাই প্রথম দেশ নয় যারা ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যেকার এই চাপানউতোরকে কেন্দ্র করে প্রথম মুখ খুলেছে। আমেরিকার আগেই চিন এই বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে যে, ভারতের এই মিসাইল নিক্ষেপের একটি পুঞ্ঝানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া দরকার। তবেই বোঝা যাবে এটা নিছকই একটা দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ পাকিস্তানের আকাশে ভারতের একটি মিসাইল নজরে আসেে এবং বিষয়টি নিয়ে আবারও মাথাচাড়া দেয় পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যেকার চাপা অশান্তি। ভারতের এইভাবে মিসাইল ছোঁড়াকে মোটেই ভালো চোখে দেখেনি ইমরান সরকার এবং ঘটনাটি ঘটার কিছু সময়ের মধ্যেই ডেকে পাঠানো হয় ভারতের হাই কমিশনারকে। অন্যদিকে ভারতের দাবি, এই ঘটনা সম্পূর্ণভাবে অনিচ্ছাকৃত। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই ভুলবশত ওই মিশাইল ফায়ার হয়ে যায় এবং সেটা পাকিস্তানের খানেওয়াল জেলায় গিয়ে পড়ে।