নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশ জুড়ে ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। উদ্দেশ্য, কোন নারীরা হিজাব পরছেন না তা দেখা। মানে ‘বাধ্যতামূলক হিজাব’ সিদ্ধান্তে অনড় রাষ্ট্র। ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়েই ইরান (IRAN) বুঝিয়ে দিল, হিজাব ইস্যুতে আরও কড়া হচ্ছে দেশ।
জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে বসছে এই সব বিশেষ ক্যামেরা। যারা হিজাব পরবেন না তাঁদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। তার আগে পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো হবে সতর্ক বার্তা। ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হিজাব বিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে এবং দেশের ভাবমূর্তি ও নারীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সাল থেকে ইরানে হিজাব বাধ্যতামূলক। নারীদের পরতে হয় দীর্ঘ ও ঢিলেঢালা পোশাক। না হলেই করা হয় তিরস্কার, জরিমানা এবং গ্রেফতার।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত বা যৌথভাবে হিজাব বিরোধী কোনও কার্যক্রম কেউ বা কারা করলে তা বরদাস্ত করা হবে না। প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন মাশা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়। হিজাব না পরার জন্য তিনি জেলে ছিলেন। তারপর থেকেই ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলন ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তারপরে সম্প্রতি এক দোকানে আসা দুই নারী হিজাব পরেননি বলে ওই দোকানে এক ব্যক্তি তাঁদের মাথায় দই ছুঁড়ে মেরেছিলেন। তা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। দুই নারী ও ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওই দোকানের মালিককে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, হিজাব সহ সমস্ত সামাজিক নিয়ম যেন মেনে চলা হয় তা দেখতে বলে দোকানদারদের নোটিশ পাঠিয়েছিল পুলিশ।