নিজস্ব প্রতিনিধি, লন্ডন: বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চিনে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত হতে পারেন ৩৭ লক্ষ মানুষ। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই মারণ ভাইরাসের নৃশংস তাণ্ডবের সাক্ষী থাকতে পারে শি চিনফিংয়ের দেশ। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করেছে লন্ডন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এয়ারফিনিটি। শুধু আক্রান্তের নিরিখেই নয়, এশিয়ার শক্তিশালী দেশটি শতাব্দীর ভয়াবহ মৃত্যুমিছিলেরও সাক্ষী হতে চলেছে বলে গবেষকদের দাবি। দৈনিক পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। যদিও পশ্চিমী দেশগুলির গবেষণা সংস্থার এমন দাবিকে উদ্দেশপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছে চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।
গত কয়েকদিন ধরেই জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া সহ একাধিক দেশে করোনার সংক্রমণ বেলাগাম হয়ে উঠেছে। গত ২৪ ঘন্টায় শুধু জাপানেই নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এক লক্ষ ৮৪ হাজারের বেশি মানুষ। চিনে নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা তিন হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। শি চিনফিংয়ের দেশে করোনার যে উপরূপ শনাক্ত হয়েছে সেই বিএফ.৭ তা ডেল্টার চেয়েও ভয়াবহ বলে দাবি করছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, করোনার আঁতুরঘরে নতুন করে তাণ্ডব চালিয়ে মারণ ভাইরাস সব হিসেব-নিকেশ উল্টে যেতে পারে।
চিনে করোনা কীভাবে তাণ্ডব চালাতে পারে, তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই আমেরিকা, লন্ডন সহ চিন বিরোধী দেশগুলির একাধিক গবেষণা সংস্থার পক্ষ থেকে আগাম পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। একাধিক গবেষণা সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আগামী তিন মাসে করোনার তিন ঢেউয়ে চিনে অন্তত ২০ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। শিগগিরই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষে পৌঁছবে।