আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ চা আর কফির মধ্যে সর্বদাই চলে দ্বন্দ্ব। এবার সেই দ্বন্দ্বের মধ্যেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। চায়ের দেশ চিনে বেড়ে চলেছে কফির চাহিদা। আর তাতেই চিনের কফি বিক্রেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে প্রতিযোগীতা। বর্তমানে চিনে চায়ের থেকে বাড়ছে কফির দোকানের সংখ্যা। এক পরিসংখ্যানে জানা গিয়েছে, গত কয়েকমাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গিয়েছে চিনের কফির দোকানের সংখ্যা। বর্তমানে চিনে কফির দোকানের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে ৫৮ শতাংশ।
চিনের গত কয়েকমাসে ৪৯ হাজার ৬৯১টি ব্রান্ডেড কফিশপের দোকান খুলেছে। এই কফির চাহিদা বাড়ছে বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ছোট রাজ্যেও। তাই এবার চিনের কফির জনপ্রিয়তার জন্য বিখ্যাত বেশ কয়েকটি কোম্পানি ব্যবসা শুরু করেছে। দেশে কফি জন্য বিনিয়োগ করছে স্টারবাকস, টিম হর্টনসের মতো বেশ জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি কোম্পানি। তাতেই চিনে বেড়ে চলেছে কফির ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা।
জানা গিয়েছে, গত এক বছরে চীনের লুকিন কফি ৫ হাজার ৫৯টি আউটলেট এবং চায়নিজ চেইন ৬ হাজার ৪টি আউটলেট খুলেছে। তবে দুঃখের বিষয় হল পশ্চিমী দেশগুলিতে প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য কফি উৎপাদন ব্যাহত হয়। সেই কারণেই বিশ্ব জুড়ে বেড়ে চলেছে কফির দাম। তবে চিনের বাসিন্দারা চায়ের বদলে বর্তমানে কফিকেই জীবন ধারার অন্যতম পানীয় হিসাবে বেচে নিয়েছে। এরফলেই চিনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে চায়ের ব্যবসা।