নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দেশে করোনা পরিস্থিতি যখন অনেকটাই স্বস্তিজনক, ঠিক তখনই সমগ্র বিশ্বজুড়ে আবারও তাণ্ডব শুরু হয়েছে এই মারণ ভাইরাসের। ইতিমধ্যেই চিন, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়ার মতো একাধিক দেশে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা হাজারের গণ্ডি পার করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পরিস্থিতি তো আরও ভয়ঙ্কর। করোনার বিশ্বব্যাপী বুলেটিন অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিদিন কয়েক লক্ষ লোক এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই এশিয়ার এই দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষে পোঁছানোয়, করোনার ক্ষেত্রে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। বিশ্বজুড়ে করোনার পরিস্থিতি যখন এমন ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছেছে ঠিক তখনই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তা, ‘ওমিক্রনকে হালকা ভাবে নেবেন না।’
জানা যাচ্ছে, চিন, দক্ষিণ কোরিয়ায় মতো একাধিক দেশে এই মুহূর্তে করোনার এই সাব ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনই তাণ্ডব চালাচ্ছে, তার জেরেই প্রতিদিন উল্কার গতিতে বাড়ছে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। মূলত সেই কারণেই করোনার এই নতুন প্রজাতি ওমিক্রন নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি দূর করতে সম্প্রতি একটি বিবৃতি দিয়েছেন ‘হু’ (WHO)-এর করোনার টেকনিক্যাল লিড মারিয়া ভ্যান কেরখোভ। তিনি শনিবার মূলত ওমিক্রন নিয়ে হওয়া তিনটি বিভ্রান্তির কথা তুলে ধরেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হল করোনার নতুন এই প্রজাতি কম ভয়ঙ্কর। এই প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, ‘যারা ভাবছেন ওমিক্রন কম ভয়ঙ্কর তাঁরা খুব ভুল ভাবছেন।’ এছাড়াও অনেকে মনে করছেন করোনা মহামারি হয়তো শেষের পথে এবং ওমিক্রনই হল করোনার শেষ ভ্যারিয়েন্ট। এই সমস্ত চিন্তাভাবনাও একেবারে ভুল বলে জানিয়েছেন মারিয়া। তাঁর কথায়, ‘আমাদের কাছে প্রচুর পরিমাণে ভুল তথ্য রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ভুল তথ্য হল ওমিক্রন হালকা। ভুল তথ্য যে মহামারী শেষ হয়েছে। ভুল তথ্য যে এটিই শেষ রূপ যা আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। এটি সত্যিই অনেক বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে।’
মারিয়া কেরখোভ আরও বলেছেন যে, ‘BA.2-কে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে সংক্রমণযোগ্য বৈকল্পিক বলে মনে হচ্ছে। আমরা জনসংখ্যার স্তরে BA.1-এর তুলনায় BA.2-এর তীব্রতার পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি না। তবে, বিপুল সংখ্যক ক্ষেত্রে আমরা হাসপাতালে ভর্তির বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি এবং এর ফলে মৃত্যু বেড়েছে।’