নিজস্ব প্রতিনিধি: নৈশ ক্লাবে এক তরুণীকে জোর করে ধর্ষণের অপরাধে ব্রাজিলের প্রাক্তন তারকা ফুটবলার দানি আলভেজকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল বার্সেলোনা আদালত। পাশাপাশি নির্যাতিতা তরুণীকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেড় লক্ষ ইউরো দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে তিন বিচারকের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার রায় দিতে গিয়ে বিচারকরা বলেছেন, ‘নির্যাতিতা তরুণীর আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়েছে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে নির্যাতিতা কোনও সম্মতি দেননি।’
গত বছরের ২ জানুয়ারি এক তরুণী অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বার্সেলোনার এক নৈশ ক্লাবে তাকে জোর করে ধর্ষণ করেছিলেন বার্সিলোনার প্রাক্তন ফুটবলাসর দানি আলভেজ। যদিও প্রথমে সেই অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি অভিযোগকারিণী তরুণীকে চেনেন না বলে দাবি করেছিলেন ৪০ বছর বয়সী তারকা ফুটবলার। কিন্তু তাঁর কথা বিশ্বাস করেনি বার্সেলোনা পুলিশের তদন্তকারীরা। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় বার্সেলোনার প্রাক্তন তারকা খেলোয়াড়কে। সেই থেকে জেলেই রয়েছেন আলভেজ। পরে অবশ্য স্পেনের বিখ্যাত সংবাদপত্র ‘লা ভ্যানগাড’ এর সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই তরুণীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছিলেন মেসির প্রাক্তন সতীর্থ। জানিয়েছিলেন, ‘স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যাবেন এমন আশঙ্কাতেই তরুণীর সঙ্গে পরিচয়ের কথা অস্বীকার করেছিলেন।’
আলভেজের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে বলা হয়, ঘটনার দিন নৈশ ক্লাবে তরুণীর সঙ্গে দেখা হওয়ার পরে তাকে একটি ছোট ঘরে নিয়ে গিয়েছিলেন ব্রাজিলের প্রাক্তন তারকা ফুটবলার। তার পরে হিংস্র জানোয়ারের মতোই ঝাঁপিয়ে পড়েন তরুণীর উপরে। বাধা দেওয়া সত্বেও জোর করে ধর্ষণ করেন। সরকারি আইনজীবীরা লিওনেল মেসির প্রাক্তন সতীর্থ দানি আলভেজের ৯ বছরের জেলের সাজা দাবি করেছিলেন। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীকে দেড় লক্ষ ইউরো ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছিলেন।