নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বন্যায় ক্রমাগত মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে লিবিয়ায়। ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে লিবিয়া। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ৩০০০ ছাড়িয়েছে। ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির লিবিয়ার দূত তামের রমজান জেনেভায় জাতিসংঘের এক বক্তব্যে এই মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা তুলে ধরেন। মৃতের সংখ্যা ১০,০০০ ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমান আবদেল জলিল।
পূর্ব লিবিয়া অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মুখপাত্র আহমেদ মিসমারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেরনার বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণেই এই বিপর্যয় ঘটেছে। এখনও পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
শনিবার(৯ সেপ্টেম্বর)লিবিয়ার বেনগাজি, সুসে, আল বায়দা, আল মার্জ ও দেরনা শহরে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। বিপর্যস্ত হয় জনজীবন। গাড়ির ওপরে, উঁচু জায়গায় বসে থেকে মানুষ নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। প্রায় ১০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত জল উঠেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। রাস লানুফ, জুয়েতিনা, ব্রেগা ও এস সিদরা, লিবিয়ার চারটি বড় তেল বন্দরই শনিবার সন্ধ্যা থেকে তিনদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে গ্রিসে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল রোববার ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করে। লিবিয়া রাজনৈতিকভাবে পূর্ব এবং পশ্চিম ভাগে বিভক্ত। ২০১১ সালের ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর বছরের পর বছর ধরে সংঘাত চলে। ত্রিপোলিতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ করে না। ত্রিপোলিতে, তিন ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি পরিষদ যা বিভক্ত দেশটিতে রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে কাজ করে তাঁরা আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছেন।