আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত অক্টোবর মাসে গাজা(Gaza) থেকে ইজরায়েলের(Israel) ওপর হওয়া হামাস গোষ্ঠীর হামলায় নিহত হন প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই সঙ্গে হামাস পণবন্দি করে হাজারেরও বেশি ইজরায়েলিকে। তারপর থেকেই গাজাকে হামাস মুক্ত করতে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। বোমা বর্ষণের তীব্রতায় ইতিমধ্যেই ভয়াবহ পরিস্থিতি তোইরি হয়েছে গাজায়। বন্ধ খাবারের সরবরাহ। অভুক্ত হাজার হাজার শিশু। সাথে বেড়ে চলেছে মৃত্যু মিছিল। নিহত বেশ কয়েকজন চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মী। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইজরায়েলি হানায় এখনও পর্যন্ত ১৭৫ জন চিকিৎসক(Doctors) ও ৩৪ জন উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছেন।
এই বিষয়ে প্যালেস্টাইনের(Palestine) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘গত এক মাসের এই ভয়ঙ্কর সংঘাতে ইজরায়েলি বোমা হামলাসহ, জ্বালানি ও ওষুধের সংকটে গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ১৬টি হাসপাতাল ও ৭২টি ক্লিনিকের মধ্যে ৫১টি বন্ধ হয়ে গেছে।’ এছাড়াও বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। ফলত, অনেক রোগী এবং চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যেই এখনও পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মোট তিনটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল সেনা। শরণার্থী শিবিরগুলিতে হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় অর্ধ শতাধিক প্যালেস্টাইন নাগরিক।
এই হামলার তীব্র নিন্দা করে রাষ্ট্রপুঞ্জের(UNO) মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজ জানিয়েছেন, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় জ্বালানি ও ওষুধের সংকটের মুখে পড়েছে প্যালেস্টাইনবাসীরা। বিপন্ন হয়ে উঠেছে তাঁদের জীবনযাপন। যদিও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক গাজায় কোনও জ্বালানি প্রবেশ করতে পারবে না। এমতাবস্থাতেও যুদ্ধ বিরতি চাইছেও না ইজরায়েল।