আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কর্মীছাঁটাইয়ের খবর অস্বীকার করলেন টুইটারকর্তা এলন মাস্ক। জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত যে খবর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রকাশ করেছে, তা ঠিক নয়। যদিও কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর মাস্ক নিজেও জানিয়েছিলেন। তার বয়ানই প্রকাশ করে ওই মার্কিন পত্রিকা।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইটার কর্তা এলন কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছেন। তিনি একটি তালিকা তৈরির নির্দেশও দিয়েছিলেন। ছাঁটাই প্রক্রিয়া ১ নভেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে চান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাস্ক নিজেও জানান, তিনি টুইটার অধিগ্রহণ করেছেন। এই অধিগ্রহণ মানবতার স্বার্থেই। অধিগ্রহণের কারণও ব্যাখ্যা করেন। তাঁর টুইটের মূলকথা, অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ক্রয় করেননি। মানবতার স্বার্থেই এই লেনদেন। সব মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত জানাতে পারে, তার জন্য দরকার একটা সামাজিক মাধ্যম। টুইটার আগামীদিনে সেই মাধ্যম হতে চলেছে, যেখানে সুস্থ পরিবেশে চলবে বিতর্কসভা।
এই বিবৃতির পরে পরেই এলোনের মুখে শোনা গেল তিনি এবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাটতে চলেছেন এবং সেটা সংস্থার স্বার্থেই। টুইটার-কর্তা ঘোষণায় রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়। সেই আতঙ্কের পারদ আরও উর্ধ্বমুখী করে তোলে তালিকা তৈরির ঘোষণা। সংখ্যাগরিষ্ঠকর্মী নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল এলন যখন বলেছেন, তখন তিনি সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করবেন। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উঠে আসে পরাগ আগরওয়াল, নেড সেগাল এবং সংস্থার মুখ্য আইনি পরামর্শদাতা বিজয় গাড্ডের বহিষ্কার। এই তিনকে ছাঁটাই করতে এলন যদি বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ না করেন, তাহলে বাকি কর্মীরা তো তাঁর কাছে মাছি-মশার সমান। তবে সোমবার এলনের বিবৃতি সেই শঙ্কার মেঘকে অনেকটাই সরিয়ে দিল।