আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আরও চাপে পড়লেন ইমরান খান। সরকারি গোপন তথ্য পাচার পর তোশাখানা মামলায় পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। শুধু ইমরানই নয় ১৪ বছরের জন্য কারাদণ্ড হল স্ত্রী বুশরা বিবির।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ বছরের কারাদণ্ডের পরেও মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ১০ বছরের জন্য সরকারি পদে থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বুধবার এই রায়দানটি করেছে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে জবাবদিহিতা আদালতের বিচারক মোহাম্মদ বশির।
অন্যদিকে ৩০ শে জানুয়ারি বুধবার সরকারি গোপন তথ্য পাচার মামলায় পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাক আদালত। তবে ইমরান খান এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। কিন্তু আজকের এই রায়দান নিয়ে ইমরান আদালতে যেতে পারবেন কিনা তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
বর্তমানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে কার্যত ট্রপিজের খেলা চলছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইমরান খানের দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দিয়েছেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। আর তাই এবার নির্বাচনে ইমরানের দলের তেমন প্রচারও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না । আগামী ৮ ই ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। এই আবহেই সরকারি গোপন তথ্য পাচার মামলায় পিটিআই নেতা ইমরানকে ১০ বছর কারাদণ্ড এবং তোশাখানা মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তান আদালত।