আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভয়াবহ বন্যা এবং ভূমিধসের কবলে ফিলিপাইন্স। প্রাণ হারিয়েছে শতাধিক। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, বন্যা-ভূমিধ্বসে প্রাণ হারিয়েছেন ১১৫ জন। বহু মানুষ নিখোঁজ। সংখ্যাটা কত, তা এখনও জানা যায়নি। ধ্বংসস্তুপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লেতে। এই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মৎস্যজীবী। বৃষ্টি আর ভূমিধসে কার্যত একটি বাড়ি আর আস্ত নেই। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। অ্যানেকলেতা কানুতো জানিয়েছে, ঝড়ের দাপটে বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়ার শব্দ শুনে মনে হল যেন কোনও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে ফিলিপাইন্স এই ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের হয়নি। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বুঙ্গাগ্রাম। মাটি চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। ক্যান্টাগনোসে ৩২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। স্যান্টিয়াগো ড্যাহনগ নামে এক মৎস্যজীবী জানিয়েছে, স্ত্রী-পুত্র পরিবারকে নৌকয় তুলে মাঝ সমুদ্রে চলে যেতে হয়েছিল। দেখছিলাম, একটার পর একটা বাড়ি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে।
ভয়াবহ বন্যার কবলে দক্ষিণ আফ্রিকা। সংবাদসংস্থা এএফপির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একসরকারি আধিকারিক জানিয়েছে, বন্যায় মৃতের সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই সেখানে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে। বন্যা কবলিত এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে প্রশাসন আশঙ্কা করছে।
আরও পড়ুন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিযোদ্ধা ডেসমন্ড টুটুর অন্ত্যেষ্টি