আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে ভালোবাসে না, এমন লোকের সংখ্যা হাতে গোনা। কেউ যায় একা, কেউ যায় বন্ধুদের নিয়ে। অনেকে আবার পরিবারকে সঙ্গে নিয়েও রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। আড্ডার মেজাজে অর্ডার দেওয়া পছন্দের খাবার তারা রসিয়ে রসিয়ে উপভোগ করেন। কিছু দরকার হলে ওয়েটারকে ডেকে চেয়ে নেন। ওয়েটার ডাকার নানা কায়দা আছে। কেউ ওয়েটার বলে চিৎকার করে ডাক দেন। কেউ ইশারা করেন। ওয়েটারকে চিৎকার করে ডাকা অনেকেই পছন্দ করে না। বোধহয় ওয়েটারও পছন্দ করে না। এই ধরনের ওয়েটারকে শায়েস্ত করতে ল্যাঙ্কাশায়ারের এক চা-কফির রেস্টুরেন্ট আজব রাস্তায় হাঁটল।
ওয়েটারকে ডাকার তিনটি ধরন তারা চক-খড়ি দিয়ে লিখে রেখেছে। কীভাবে ডাকলে চা-কফির দাম কেমন হবে, সেটাও সেখানে লেখা আছে। দেখা যাক কেমন ভাবে ডাকলে চা-কফির দাম কেমন হবে। স্বাভাবিকভাবে কোনও খাবারের অর্ডার যেভাবে দেওয়া হয় চা-কফির অর্ডার সেভাবে দিলে কাস্টমারকে দিতে হবে পাঁচ পাউন্ড।
মানে, আপনি যদি বলেন দেখি একটা দেশি চা দিন তো, তাহলে আপনাকে দিতে হবে পাঁচ পাউন্ড।যজ
যদি এভাবে বলেন – একটা দেশি চা দেবেন প্লিজ, তাহলে দিতে হবে তিন পাউন্ড
আর গদগদ হ্যালোর সঙ্গে একটা প্লিজ জুড়ে বলেন হ্যালো, একটা দেশি চা আমাকে দেবেন প্লিজ, তাহলে মাত্র ১.৯০ পাউন্ডে চা মিলবে।
এইভাবে চা-কফির দাম ঠিক করেছেন ২৯ বছরের উসমান হোসেন। বলেছে, তিন ধরনের কাস্টমারদের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত।