আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গ্রেফতারি এড়াতে ইসলামবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর হয়ে হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন বাবর আওয়ান এবং ফৈজল চৌধুরী।
পিটিশনে বলা হয়েছে, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী যেহেতু লাগাতার সরকারের সমালোচনা করে গিয়েছে, তার বদলা হিসেবে মিথ্যে মামলায় তাকে গ্রেফতার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দল এবং বিরোধী জোট সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইমরানকে গ্রেফতার করার ফল ভুগতে হবে। অন্যদিকে, ইসলামবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা যাবে না। হাইকোর্টের রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ইমরান খান ও তাঁর দল।
পুলিশ গতকাল রাতেই প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি ঘিরে ফেলে। তাঁর বাড়ি এমব্যাসি রোডে জড়ো হয়েছে কয়েক হাজার সমর্থক। দেশের প্রাক্তন তথ্য মন্ত্রী তথা ইমরান ঘনিষ্ঠ নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন – আপনারা যেখানেই থাকুন না কেন, আজ আপনারা আমাদের নেতাদের বাড়ির সামনে হাজির জড়ো হন। আমাদের নেতাকে গ্রেফতার করতে সরকার পুলিশ পাঠিয়েছে। যে কোনও মূল্যে এই গ্রেফতারি রুখতে হবে। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
ইতোমধ্যে পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা আগামীদিনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কোনও ভাষণই আর সরাসরি সম্প্রচারিত করবে না। পরিবর্তে হবে ডেফার্ড লাইভ। সিদ্ধান্ত নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইমরান। জানিয়েছেন, তাঁর মুখ বন্ধ করতেই শাহাবাজ সরকারের নির্দেশে মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।