আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শনিবার মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যূত হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ক্ষমতাচ্যূত হলেও হাল ছাড়তে নারাজ। এখনও তিনি দেশবাসীর ওপর ও নিজের ওপর আত্মবিশ্বাসী। ট্যুইটারে তিনি দেশে যত দ্রুত সম্ভব সাধারণ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার রাতে ট্যুইটারে পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, ক্ষমতা হারানোর পর বুধবার তিনি প্রথমবারের জন্য পেশোয়ারে জনসভা করবেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, বিদেশি ষড়যন্ত্রের জেরেই তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরতে হয়েছে। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম বিদেশি শক্তি দাসত্বের জন্য হয়নি। একট স্বাধীন দেশ হিসেবে পাকিস্তানের উঠে আসা দরকার। সেই কারণে পাকিস্তানকে বিদেশি শক্তি মুক্ত দেশ করার জন্য তিনি দেশবাসীকে পেশোয়ারের জনসভায় আসার অনুরোধ করেন। পাশাপাশি তিনি আর একটি ট্যুইটে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব একটা সাধারণ নির্বাচন প্রয়োজন। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ ঠিক করবে, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তারা কাকে চাইছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইমরান খানকে পদচ্যূত করতে বিরোধীরা এক হয়। ৩০ মার্চ পাকিস্তানের অন্যতম শক্তিশালী দুটি রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ – নওয়াজ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি যৌথ বিবৃতি সাংবাদিকদের দেয়। এই দেশ রাজনৈতিক দল অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পাক সরকারকে ফেলে দিতে চায়। পিটিআই অনাস্থা ভোট আটকানোর চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। শনিবার রাতে পাকিস্তান সংসদে অনাস্থা ভোট হয়। ক্ষমতাচ্যূত হন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এরপরেই পাক সংসদে ইমরান খানের দলের সমস্ত সাংসদরা পদত্যাগ করেন। নওয়াজ শরিফের দাদা শহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। নওয়াজ শরিফের পাশাপাশি শাহবাজ বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি রয়েছে। আর্থিক তছরুপের দায়ে তিনি ও তাঁর ছেলে জেল খেটেছেন। সেই শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ কতটা মেনে নেবে, সেই নিয়ে ইমরান খান সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।