আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী হামলা প্রায় সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ভারতের বুকে ঘটে গিয়েছে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলা। সব থেকে বড় ঘটনা ঘটেছে মুম্বইতে। তাজ হোটেলে ঢুকে পড়ে পাক প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা। প্রাণ হারান শতাধিক মানুষ। যারা বেঁচে গিয়েছেন, তারা যে ভাগ্যবান তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তারা যতদিন বেঁচে থাকেন, সেই ভয়াবহ হামলার স্মৃতিও বেঁচে থাকে। সেই স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখার কোনও ইচ্ছে ছিল না শ্যান্টি দে কোর্তের। তিনি বেছে নিয়েছেন স্বেচ্ছামৃত্য। বয়স মাত্র ২৩ বছর। শ্যান্টির স্বেচ্ছামৃত্যুর খবরে তাঁর স্কুলে শোকের ছায়া।
সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনাটি ঘটে ২০১৬-য়ের ২২ মার্চ। শ্যান্টি এবং তাঁর সহপাঠীরা স্কুলের ছুটিতে ইতালি যাচ্ছিল। বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে আচমকাই বিস্ফোরণ। ঘটনায় প্রাণ হারান ৩২ জন। আহত তিনশোর বেশি। মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরে শ্যান্টি এবং ওর সহপাঠীরা। বেঁচে যান শিক্ষিকারাও। শ্যান্টির বয়স তখন মাত্র ১৭ বছর। ফেলে আসা ছয় বছরে একাধিকবার তাঁর মনে পড়ে সেই ভয়াবহ হামলার ঘটনা। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল শ্যান্টি। নিজের সঙ্গে একাধিকবার লডা়ই চালালেও সে লড়াইয়ে সে জয়ী হতে পারেনি। হতাশা কাটাতে সে ভর্তি হয়েছিল অ্যান্টি ডিপ্রেসন সেন্টারে। সেখানে ছিল বেশ কয়েকমাস। সেখানে থেকেও শ্যান্টির মানসিক অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। রাত হলেও চোখের সামনে ভেসে উঠত বিমানবন্দরে সেই হামলার ছবি। শেষ পর্যন্ত শ্যান্টি স্বেচ্ছামৃত্যুর সিদ্ধান্ত নেয়। বেলজিয়ামে স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার দেওয়া হয়েছে।