নিজস্ব প্রতিনিধি, অটোয়া: চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা বন্ধের রাস্তা থেকে পিছু হঠল মোদি সরকার। মাসখানেক বন্ধ থাকার পরে ‘শত্রু’ জাস্টিন ট্রুডোর দেশেরর বাসিন্দাদের জন্য ভিসা পরিষেবা চালু করেছে কানাডাস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। বুধবার দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা চালু হচ্ছে। এন্ট্রি ভিসা ছাড়াও ব্যবসা, চিকিৎসা ও কনফারেন্স ভিসা প্রদান করা হবে। আগামিকাল বৃহস্পতিবার থেকেই ওই ভিসা পরিষেবা প্রদান শুরু হবে।’
খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোজাসুজি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এমনকি কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত বিদেশ সংক্রান্ত গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর এক আধিকারিককেও বহিষ্কার করা হয়। ট্রুডোর অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা নয়াদিল্লিতে অবস্থিত কানাডা দূতাবাসের এক কূটনীতিবিদকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। তার পরেই আচমকা কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে মোদি সরকার। আর ওই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েন কানাডায় বসবাসকারী কয়েক লক্ষ ভারতীয়। যাদের অধিকাংশই পঞ্জাবের বাসিন্দা। ভিসা বন্ধ থাকায় নবরাত্রির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশে ফিরতে পারেননি অনেকেই। ফলে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন কানাডায় বসবাসকারী পঞ্জাবি সম্প্রদায়।
শুধু কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা বন্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি মোদি সরকার। নয়াদিল্লির দূতাবাস থেকে ৪১ আধিকারিককে প্রত্যাহারের জন্যও কানাডার বিদেশ মন্ত্রককে নির্দেশ দেয় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। যদিও নয়াদিললির ওই নির্দেশের বিরোধিতা করে কানাডার পাশেই দাঁড়িয়ে পড়ে ভারত বন্ধু হিসেবে পরিচিত আমেরিকা ও ব্রিটেন। আর তাতেই প্রমাদ গুনে কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।