আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুই বছর বাদে ইরান (Iran) প্রকাশ্যে কার্যকর করল মৃত্যুদণ্ড (Capital punishment) । সে দেশের কয়েকটি সেচ্ছাসেবী (NGO) সংগঠন সূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ফাঁসি দেওয়া হয়েছে ইমান সাবজিকারকে। তাঁর বিরুদ্ধে এক পুলিশকর্মীকে (police) খুন করার অভিযোগ রয়েছে। খুনের ঘটনাটি ঘটে ২০০২ সালে, ইরানের দক্ষিণ প্রান্তে শিরাজ শহরে। ইমানের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা রুজু হয়। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট ইমানকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং সর্বোচ্চ সাজায় তাঁকে দণ্ডিত করে।
প্রকাশ্যে ফাঁসি কার্যকর করার খবর দিয়েছে নরওয়ে ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস (Iran Human Rights)। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ (protest) শুরু হয়।সংস্থার প্রধান মাহমুদ আমিরি মগহাড্যাম জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ভাবে প্রকাশ্যে ফাঁসি দিয়ে জনমানসে ভয়-ভীতির পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে। এটা মধ্যযুগীয় বর্বরতা। কোনওভাবেই এই পদক্ষেপ সমর্থন করা যায় না।
প্রকাশ্যে ফাঁসি (Capital punishment) কার্যকর করার মুহূর্তের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে অনেকেই সেখানে হাজির হন।পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় ওই নৃশংস মুহূর্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরা হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অপরাধী পরে রয়েছে নীল রক্ষের একটি জামা। পরে চেক পায়জামা। বন্দিরা যে ধরনের পোশাক পরে, ইমানের পোশাক ছিল তেমনই। একটি ট্রাকে রয়েছে ক্রেন। ক্রেন থেকে ঝোলানো দড়ি তাঁর গলায় পড়িয়ে হ্যাঁচকা টান। কয়েক মুহূর্ত ছটফট করতে করতে নিস্তব্ধ হয়ে গেল দেহটা।