আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ইরানে ফের ফাঁসি (execution)। ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তিন মহিলাকে, একদিনে। এদের মধ্যে একজনকে প্রকাশ্যে (openly) ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এই তিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্বামীকে খুন (murdering husband) করার। ফাঁসি দেওয়ার খবর প্রকাশ করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা (NGO)। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তরফ থেকে এই সর্বোচ্চ শাস্তির নিন্দা করা হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত এই তিনকে নিয়ে মোট ১০ মহিলাকে ফাঁসি দেওয়া হল। আর ২০১০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ১৬৪জন মহিলাকে ফাঁসি দিল ইরান প্রশাসন। সব মিলিয়ে মোট এখনও পর্যন্ত ৩০৬জনকে ফাঁসি দিল তেহরান। যে তিনজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন সেনোবার জালালি, সোহেইলা আবেদি, ফারানাক বেহেস্তি। এদের মধ্যে সেনোবার জালালিকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সে আফগান নাগরিক (Afghan national) ।
জানা গিয়েছে, ইরানের অধিকাংশ পুরুষ বিয়ে করেন নাবালিকাদের। অনেকে আবার দূরাত্মীয়দের মেয়েকেও বিয়ে করেন। বিয়ের পর (after their marriage) শুরু হয় নানা ধরনের শারীরিক নির্যাতন। সেই নির্যাতন অধিকাংশ সময় সহ্যসীমার বাইরে চলে যায়। বহু মহিলা স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে আসেন। অনেকে স্বামীর (husband) প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ন ওঠেন। ইরান (Iran) প্রশাসন জানিয়েছে, এই তিন স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাদের খুন করে দেন। ফারানাক বেহেস্তিকে উর্মিয়া শহরে নিয়ে গিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়। প্রকাশ্যে ফাঁসি হওয়ার খবর পেয়ে অনেকেই সেখানে হাজির হন। মানবাধিকার সংগঠনের (Human rights organization) তরফ থেকে বলা হচ্ছে ভয়-ভীতির পরিবেশ তৈরি করতেই এই নৃশংস সাজা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।