নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ। ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। যুদ্ধবিধ্বস্থ হামাস-ইজরায়েলের বহু মানুষ, নিরীহ শিশু বলি হয়েছে। যুদ্ধ থামার তো নামই নেই, বরং ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত হাজারেরও বেশি গাজাবাসীদের মুক্তি দিয়েছে তেল আবিব। কিন্তু বেশিরভাগের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত বাজে আচরণ করেছে ইজরায়েলের সেনারা।
যৌনহেনস্থা তুঙ্গে। পুরুষদেরও ছাড়েননি তাঁরা ইজরায়েলি সেনাদের হাতে যৌন সহিংসতারও শিকার হচ্ছেন গাজাবন্দিরা। বন্দিশালায় পুরুষদের বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছে। আর নারীদের সংবেদনশীল স্থানে ছেঁটানো হচ্ছে লঙ্কার গুঁড়ো। পাশাপাশি কুকুর দিয়ে আক্রমণ করানো হয় বন্দীদের। কাউকেই ছাড়ছে না ইজরায়েলি সেনারা। অত্যাচারের মাত্রা কয়েক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে তাঁরা। তারা পর্যাপ্ত খাবার এবং জলও পাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে গাজার ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের অবসানের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এদিকে যুদ্ধের শুরুতে দখলদারদের দমনে শুধু ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন থাকলেও এখন এতে ইরানসহ অনেকের নাম জড়িয়েছে। এর পাল্টা জবাবে নেতানিয়াহু বাহিনী নিরীহ গাজাবাসীর ওপর হামলার মাত্রা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) গাজার মধ্যাঞ্চলে মাঘাজী শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী।
যাতে হতাহত হয়েছে অনেকেই। শুধু তাই নয়, একইদিনে নেতানিয়াহু বাহিনীরা বিমান হামলা করে উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে। যার ফলে একটি মসজিদসহ বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। আহত হন নারী ও শিশুসহ অনেকে। এছাড়াও নেতানিয়াহুদের তাণ্ডবের মুখে পড়ে গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলে একটি গাড়িতে পথচারীসহ নিহত হন আইন এবং শৃঙ্খলাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য। পশ্চিমতীরেও হামলা চালায় তাঁরা।