নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জ্বালানিভাণ্ডার ফুরিয়ে এসেছে পাকিস্তানে। তার জেরে জাতীয়-আন্তর্জাতিক সহ ৪৮টি বিমান বাতিল। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশানাল এয়ারলাইন্স-এর মুখপাত্র পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘ডন’কে এই খবর নিশ্চিত করেছে।
পিআইএ-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, জ্বালানী সরবরাহ সীমিত এবং অপারেশনাল সমস্যার কারণে বিমানগুলি বাতিল করা হয়। ১৩টি অন্তর্দেশীয় ও ১১টি আন্তর্জাতিক রুটের বিমান সহ ১২টি অন্যান্য বিমান বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীদের বিকল্প বিমানে স্থানান্তর করা হয়েছে। পুনরায় বিমানের যাবতীয় তথ্যের জন্য পিআইএ কাস্টমার কেয়ার, পিআইএ অফিস বা তাদের ট্রাভেল এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শুধুমাত্র বুধবারেই ১২টিরও বেশি বিমান বাতিল করেছে পিআইএ। পাকিস্তান স্টেট অয়েল বকেয়াগুলির জন্য সরবরাহ স্থগিত করেছে তাই জ্বালানিতে ঘাটতি দেখা গিয়েছে। ক্রমে ক্রমে ঋণের কারণে ইতিমধ্যেই বেসরকারীকরণের পথে পাকিস্তানের এই এয়ারলাইনটি। ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের অনুরোধ সত্ত্বেও অপারেশনাল খরচের জন্য ২৩ বিলিয়ন রুপি সহায়তা দিতে প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান সরকার। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপের পথে এগিয়েছে।
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশানাল এয়ারলাইন্সের পাকিস্তান স্টেট অয়েল সংস্থা থেকে জ্বালানির জন্য প্রতিদিন ১০০ মিলিয়ন রুপি প্রয়োজন। তা কখনই মেটানো সম্ভব নয়। ফলে ভবিষ্যতে আরও পরিস্থিতি খারাপের দিকে এগোবে ও আরও বিমান বাতিলের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির পাশাপাশি পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি বর্তমানে রেকর্ড ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ ২১.৩ শতাংশ। গত এক বছরে মার্কিন ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি রুপির মূল্য প্রায় অর্ধেক কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের একটি নিচে নেমেছে।
সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম রেকর্ড মাত্রা ছাড়িয়েছিল। বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধি নিয়েও পাকিস্তানে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। মুলতান, লাহোর, করাচি এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) সহ একাধিক স্থানে বিক্ষোভকারীরা বিল পুড়িয়েছে। অর্থসংকটে থাকা পাকিস্তানে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক 8 লাখেরও বেশি মানুষ দেশ ছেড়েছে।