আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্প্রতি একটি গুপ্তচর উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। সেই উপগ্রহ পরিচালনাকারী অফিসটি একটি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা হিসাবে পরিচালিত হবে।
পিয়ংইয়ং গত মাসে সফলভাবে একটি সামরিক গুপ্তচর উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করেছে এবং তখন থেকে দাবি করেছে যে তারা মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান সামরিক স্থাপনার ছবি সরবরাহ করছে। তবে তারা এখনও স্যাটেলাইটের কোনো ছবি প্রকাশ্যে আনেনি। শুধু শনিবার একটি সতর্ক বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, তাদের এই গুপ্ত স্যাটেলাইটের ওপর যেকোনো হামলা যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) রবিবার জানিয়েছে, নবগঠিত রিকোয়েন্স স্যাটেলাইট অপারেশন অফিস ২ ডিসেম্বর তাদের এই মিশন শুরু করেছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল একটি স্বাধীন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে কাজ করা। এই উপগ্রহ পরিচালনাকারী অফিসটি তাদের অর্জিত তথ্য সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য বড় ইউনিটের পর্যবেক্ষণ ব্যুরোকে রিপোর্ট করবে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের একের পর এক প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়াকে ব্যালিস্টিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরীক্ষা করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, মহাকাশ উৎক্ষেপণ ক্ষমতা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিকাশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও প্রযুক্তিগত ওভারল্যাপ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কক্ষপথে একটি কার্যকরী পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ স্থাপন করায় উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দাদের তথ্য সংগ্রহের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর, এবং যেকোনো সামরিক সংঘাতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে।
এর আগে দুবার ব্যর্থতার পর উত্তর কোরিয়ার ‘মালিগইয়ং-১’ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পিয়ংইয়ংয়ের তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। সিউল বলেছে, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র সরবরাহের বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া মস্কোর কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়েছে।