নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী (Punjab Chief Minister) পদে ভোটাভুটিতে জোচ্চুরি নিয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সঙ্গে শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) সরকারের সঙ্ঘাত সোমবার তুঙ্গে পৌঁছেছে। সোমবার রাখঢাক না রেখে সুপ্রিম কোর্টকে হুমকি দিয়ে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা কুখ্যাত ড্রাগ মাফিয়া রানা সানাউল্লাহ (Rana Sanaullah) বলেছেন, ‘সংবিধানের ৬৩এ ধারা নিয়ে আবেদনের শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট যদি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গঠন না করে, তাহলে শীর্ষ আদালতের কোনও বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন না সরকারি আইনজীবীরা।’ শাহবাজ শরিফ সরকারের আর এক শরিক তথা কুখ্যাত জঙ্গি নেতা পীর ফজলুর রহমান (Phir Fazlur Rahaman) এক ধাপ এগিয়ে শীর্ষ আদালতকে নিজেদের গণ্ডির মধ্যে থাকার জন্য সতর্ক করে দিয়েছে। গণ্ডি টপকালে পরিণতি ভয়াবহ হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন।
গত শুক্রবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে ভোটাভুটি নিয়ে জোচ্চুরি করে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র হামজা শাহবাজকে জয়ী বলে ঘোষণা করেছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মোহাম্মদ মাজারি (Dost Mohammed Mazari)। আর তাঁর ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী চৌধুরী পারভেজ এলাহী (Choudhury Pasrvez Elahi)। গত শনিবার তাঁর আর্জির শুনানিতে হামজাকে পঞ্জাবের তদারকি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছিল দেশের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানির আগেই দেশের শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে শাহবাজ শরিফ সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Interior Minister) রানা সান্নাউল্লাহ (Rana Sanaullah) থেকে শুরু করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (Former Prime Minister) নওয়াজ শরিফের (Nawaz Sharif) কন্যা মরিয়ম নওয়াজরা (Mariyam Nawaz) সুপ্রিম কোর্টকে হুমকি দেওয়া শুরু করেন। নিজেদের দালাল বিচারপতিদের মাধ্যমে যাতে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে মামলার রায় নিজেদের পক্ষে আনা যায়, তার জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গঠনের ধুয়ো তুলেছেন। যদিও এদিনও নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গঠন করে মামলার শুনানিতে রাজি নন তিনি।