আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এ যেন ভূতের মুখে রামনাম !
ভারতের সঙ্গে স্থায়ী শান্তির জন্য সওয়াল করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। শনিবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্রদের সঙ্গে আলাপচরিতায় পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের জন্য যুদ্ধ কখনওই বিকল্প হতে পারে না।’ তিনি আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের উপর জোর দেন। উল্লেখ্য, ভারত দীর্ঘদিন ধরেই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের কথা বলে আসছে।
এদিন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের শেহবাজ বলেন, ‘পাকিস্তান ভারত উপমহাদেশে শান্তি বজায় রাখতে চায়। রাষ্ট্রসংঘের সনদ অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে আগ্রহী। যুদ্ধ করে কোনও সমস্যার সমাধান করা যায় না।’ ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পথে কাশ্মীর ইস্যুই সবচেয়ে বড় বাধা। এছাড়া ওয়াঘার ওপার থেকে বরাবর উগ্রপন্থী কার্যকলাপে মদত দেওয়া হয় বলে ভারত বরাবর অভিযোগ করে এসেছে। এরই মধ্যে ভারত সংবিধানের ৩৭০অনুচ্ছেদ বাতিল করে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় এবং ৫ আগস্ট, ২০১৯-এ রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও তলানিতে এসে ঠেকে। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, পাকিস্তান থেকে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হয়। তখন কড়া ভাষায় কেন্দ্র জানিয়ে দেয় যে, জন্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানে বাইরের কারওর নাক গলানো বরদাস্ত করা হবে না। এই পরিস্থিতিতে শেহবাজ শরিফের শান্তির বার্তা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে কৌতূহল তৈরি করেছে।এদিন শেহবাজ আরও বলেন,। ‘দু’দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা হোক। তা হোক আর্থিক উন্নয়নের, ব্যবসা বাণিজ্যের, দু’দেশের মানুষের মান উন্নয়নের।’ তাঁর আশ্বাস, পাকিস্তান কখনও আগ্রাসী নীতিতে বিশ্বাসী নয়। পাকিস্তান একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ। কিন্তু পরমাণু অস্ত্র কখনওই আগ্রাসনের কাজে ব্যবহার করা হবে না। শুধুমাত্র নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষার কাজে রাখা হয়েছে। তবে বেনজির ভুট্টো, নওয়াজ শরিফ, ইমরান খান পাকিস্তানের প্রাক্তন সব প্রধানমন্ত্রীর মুখেই এই একই কথা শোনা গিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তাঁর প্রতিফলন হয়নি। বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনীতির হাল খুব খারাপ। বিদেশি ঋণের বোঝা গলায় ফাঁসের মতো চেপে বসছে। শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেক অর্থনৈতিক পণ্ডিত। এই অবস্থায় ভারতের সঙ্গে স্থায়ী শান্তি চাইলেন শেহবাজ শরিফ।