আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিমান মাঝ আকাশে। যাত্রীদের দিকে ট্রলি ঠেলতে ঠেলতে এগিয়ে আসছেন বিমানসেবিকা। পোশাক যেন শরীরকে জড়িয়ে ধরেছে। সেই সঙ্গে দুলছে স্তনযুগল। চেয়ারে বসে থাকা যাত্রীদের হাতে হাসিমুখে তুলে দিচ্ছেন অর্ডার করা খাবার। কয়েকজন যাত্রী হা করে সেই বক্ষযুগলের দিকে তাকিয়ে। বিমান সেবিকা প্লেনের মেঝেতে পরে থাকা কিছু তুলতে গেল বুকের ছবিটা পরিষ্কার। বিভাজিকা স্পষ্ট। যাদের চক্ষুলজ্জা আছে, তারা সেদিকে দেখছেন না। আর যাদের নেই, তারা সেই দৃশ্য তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন। এতো ফুচকার সঙ্গে ফ্রিতে টক জল খাওয়ার মত। না চাইলেই পাওয়া যায়। নির্মেদ শরীর। উজ্জ্বল ত্বক। তার মধ্যে শোভাবর্ধন করছে স্তুনযুগল। এবার সেই দিন শেষ হতে চলেছে।
পাকিস্তান এয়ারলাইন্স বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, বুক খোলা রাখা যাবে না। পরতে হবে অন্তর্বাস। অন্তর্বাস পরতে হবে হোটেলে থাকার সময়েও।কারণ, হোটেলে থাকা মানে সে অন ডিউটি। যারা এই নির্দেশিকা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ। বিমান সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়েছে, বিমানসেবিকাদের এই আচরণে সংস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। পাকিস্তান এয়ারলাইন্স বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন বিমানবালাদের পোশাক নিয়ে নানা প্রান্ত থেকে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের জেরে সংস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে সংস্থা সম্বন্ধে নেতিবাচক ধারণা। পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের প্রত্যেক কর্মীকে বলা হচ্ছে, প্রত্যেক বিমানবালার অন্তর্বাস পরিধান বাধ্যতামূলক। ঠিকঠাক পোশাক পরতে হবে পুরুষ কর্মীদেরও। নিয়ম ভাঙলে করা শাস্তি।