-273ºc,
Friday, 9th June, 2023 2:34 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: ইমরান খানকে অবৈধভাবে হঠিয়ে শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই ছন্নছাড়া দশা পাকিস্তানের। গত কয়েক মাস ধরে কার্যত চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে মহম্মদ আলি জিন্নার দেশ। একদিকে কমছে আয়, অন্যদিকে লাফিয়ে বাড়ছে খরচ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে। কোনও ভাবেই জিনিসপত্রের দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। দেশে জিনিসপত্রের দাম কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে তা শনিবার পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত রিপোর্টেই স্পষ্ট। সদ্য শেষ হওয়া মার্চে দেশে খুচরোর মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৩৭ শতাংশে। ১৯৬৫ সালের পরে খুচরোর মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ রেকর্ড করল।
অথচ গত এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২২ সালের মার্চে খুচরো মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ১২ মাসে জিনিসপত্রের দাম প্রায় তিনগুণের কাছাকাছি বেড়েছে। গত বছরের এপ্রিলে শাহবাজ শরিফ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মূল্যস্ফীতি ২০ শতাংশের গণ্ডি ছাড়িয়েছিল। তার পরে পাল্লা দিয়ে তা বেড়ে চলেছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্যে দেখা গিয়েছে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে বেশী। শহর ও গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে যথাক্রমে ৩২ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও ৩৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে এক মুঠো আটা-ময়দা জোগাড় করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত কয়েকদিনে রমজান উপলক্ষে বিনামূল্যের আটা-ময়দা নিতে ব্যাপক হুড়োহুড়িতে শতাধিক মানুষ পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। গতকাল শুক্রবারই করাচিতে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। নিহতের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে।