নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: সংসার চালাতে স্ত্রীকে অবৈধ সম্পর্কে জড়ানোর জন্য চাপাচাপি করেছিলেন। কিন্তু সেই জঘন্য প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে বালিশচাপা দিয়ে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে তার পরে সেই নিথর দেহকে কড়াইয়ের ফুটন্ত জলে ফেলে দিয়ে রাগ মেটালেন স্বামী। এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে করাচিতে (Karachi)। ঘটনার পরেই তিন সন্তানকে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে খুনে অভিযুক্ত আশিক খান (Ashique Khan)। তাকে ধরতে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পাকিস্তানের প্রথমসারির সংবাদমাধ্যম ‘জিও নিউজ’ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, করাচির গুলশান ই ইকবাল এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতেন আশিক খান নামে ওই ব্যক্তি। স্ত্রী ও ছয় সন্তানকে নিয়ে থাকতেন স্কুলেরই আবাসনে। কিন্তু গত ৮-৯ মাস ধরে ওই স্কুল বন্ধ। ফলে আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছিলেন আশিক। সংসার চালানোর জন্য স্ত্রী নার্গিস বেগমকে অবৈধ সম্পর্কে জড়ানোর জন্য লাগাতার চাপ দিয়ে চলেছিলেন। কিন্তু স্বামীর জঘন্য প্রস্তাব মানেননি নার্গিস। বুধবার এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
বচসার মধ্যেই আচমকা স্ত্রীকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন আশিক। তার পরে সন্তানদের সামনেই নার্গিসের নিথর দেহ উনুনে বসানো ফুটন্ত কড়াইয়ে ফেলে দেন। তার পরে তিন সন্তানকে নিয়ে গা ঢাকা দেন। চোখের সামনে ভয়াবহ ঘটনা দেখে স্তব্ধ হয়ে যায় বাকি তিন সন্তান। আশিক পালানোর পরেই পুলিশের হেল্পলাইন ১৫-তে ফোন করে সাহায্য চায় তার বড় মেয়ে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মোবিনা টাউন থানার পুলিশ। নার্গিসের দেহ ফুটন্ত কড়াই থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জিন্নাহ পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারে পাঠায়।
করাচির সিনিয়র পুলিশ সুপার (Senior Superintendent of Police) আবদুর রহিম সেরাজি (Abdur Rahim Sherazi) জানান, দীর্ঘক্ষণ ধরে কড়াইয়ে ফোটার কারণে নার্গিসের (Nargis Begum) একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। চোখের সামনে মাকে এভাবে খুন হতে দেখে মানসিকভাবে আতঙ্কে রয়েছে তিন সন্তানই। আশিকের দুটি ফোন বন্ধ। ফলে তার অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পেতে সমস্যা হচ্ছে।