আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় হতদের মধ্যে ১১ জন বিদেশি। তিনটি শিশুও রয়েছে। হতদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ট মহিলা। তাদের সংখ্য়া ৪১।
নেপালে বিমান দুর্ঘটনার জেরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার দাহাল মন্ত্রিসভার জরুরী বৈঠক ডাকলেন। মন্ত্রিসভার সব সদস্যকে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বিমান দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ তদারকির দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাঁধে। তিনি নিজে কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন।
কাঠমাণ্ডু পোস্টের খবর অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পোখারা বিমানবন্দরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। জানতে চান সর্বশেষ পরিস্থিতি। দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি তিনি সমবেদনা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনায় হতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, রবিবারের পোখারা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি উড়ান দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। বিমানে কর্মী-সহ মোট ৭২জন ছিলেন। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই তারা মনে করছে। আমি আমার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নিরাপত্তাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি উদ্ধারকাজ তদারকি করতে। আমি নিজে কাঠমাণ্ডু যাচ্ছিল। সেখান থেকে ফিরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেব।
রবিবার সকালে নেপালের পোখারায় একটি ছোট বিমান অবতরণের সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন লেগে যায়। আগুন নেভানোর কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ঘটনাস্থলে আশে-পাশে থাকা মানুুষ। খানিক বাদে সেখানে পৌঁছে যায় দমকল বাহিনী ও নিরাপত্তাকর্মী। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ।
আরও পড়ুন নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মর্মান্তিক মৃত্যু