আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কর নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক। আর সেই বিতর্কের জেরে অর্থমন্ত্রীর পদ হারালেন কোয়াসি কোয়ারতেঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস তাঁকে বরখাস্ত করেছেন। মন্ত্রক সূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে বিবিসি এবং স্কাই নিউজ এই খবর দিয়েছে।
বরখাস্তের খবর স্বীকার করে নিয়েছেন কোয়াসি । সেই সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন – আপনি আমাকে আমার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিচ্ছি। অর্থমন্ত্রকের যে দায়িত্ব আমার কাঁধে অর্পণ করা হয়েছিল, সেই দায়িত্ব পালন করতে আমি আপ্রাণ চেষ্টা চালাই। যে সময় আমায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেই সময় ব্রিটেনের আর্থিক পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত কঠিন। বিশ্বের প্রতিটি দেশ সুদের হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। দাম বাড়তে থাকা জ্বালানির। এত কিছুর পরেও আপনি আশাবাদী ছিলেন ব্রিটেনের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। বৃদ্ধি পাবে উৎপাদন। বদলে যাবে অর্থনীতির গোটা চিত্র। আপনি আপনার দিক থেকে ঠিক। এত কিছুর পরেও আমাকে বলতে হচ্ছে, ব্রিটেনের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নতি তেমন লক্ষ্য়ণীয় নয়। উল্টে কর হার অত্যন্ত বেশি। ব্রিটেনকে অর্থনৈতিকভাবে আত্মনির্ভর হতে গেলে কর কাঠামোর আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
প্রাক্তন মন্ত্রী আরও লিখেছেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর আমরা একটি বৈঠকে বসেছিলাম। সেই বৈঠেক আলোচনা হয়েছিল আগামীদিনে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক রূপরেখা কী হবে, তা নিয়ে। বৈঠকে লন্ডনের শীর্ষ ব্যাঙ্ক ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড এবং অর্থ দফতরের বেশ কয়েকজন পদস্থকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে হাজির কর্তাদের আমি সুনির্দিষ্টভাবে জানিয়েছিলাম আগামীদিনে তাদের দায়িত্ব কী হবে। কোন পথে ব্রিটেন এগোলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। আমি আপনাকে এই মর্মে আশ্বাস দিয়ে বলছি, দেশের স্বার্থে আমার কোনও পরামর্শ চাইলে আমি আপনাকে বা আপনার সরকারকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করব।