আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ টানা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলেছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ। এবার ইউক্রেনের এক সেনা রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাতেই রাশিয়ায় ইউক্রেনের বন্দিদের অবস্থা নিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বন্দিদশা থেকে বেরিয়ে এসে ইউক্রেনের সেনা সেরহি জানান, রাশিয়া সৈন্যরা কীভাবে যুদ্ধবন্দি সৈন্যদের নির্যাতন করে কপালে নাৎসি প্রতীক এঁকে দিয়েছেন।ইউক্রেনীয় সেনা জানান, চোখ বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করে রুশ সৈন্যরা যুদ্ধবন্দিদের কপালে নাৎসি প্রতীক এঁকে দিত। এ সময় তারা বলতো তোমার সন্তানরা জানুক তুমি কতটা ফ্যাসিবাদী। এই কারণেই তোমাকে নাৎসি প্রতীক এঁকে দেওয়া হচ্ছে।
রাশিয়ার সৈন্যদের অত্যাচারের জেরে বন্দিদশায় অসুস্থ হয়ে পড়েন সেরহি। তবুও তাঁকে চিকিৎসা করেনি রুশ সৈন্যরা। জানা গিয়েছে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই সেরহি সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। ২০২২ সালে ডিসেম্বরে দোনেৎস্ক অঞ্চলে দুইপক্ষের তুমুল যুদ্ধের সময় তাকে বন্দী করা হয়। সেখান থেকে তাকে রুশ সৈন্যরা তাঁকে একটি কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করত। সেখান থেকে তাকে চেচনিয়ায় স্থানান্তরিত করা হয়।
টানা পাঁচমাস পর চেচনিয়া থেকে মুক্তি পান সেরহি। তাঁকে এই জেলবন্দি সময় শুধু নির্যাতন নয় খাবার ও খেতে দিত না রুশ সৈন্যরা। প্রসঙ্গত, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মূল লক্ষ্য হল ইউক্রেনকে নাৎসি মুক্ত এবং বেসামরিকীকরণ করা। আর সেই লক্ষ্য পূরণ হলেই রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হবে ।