নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যাবতীয় আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণিত করে শেষমেশ যুদ্ধের দামামা বেজেই গেল। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ডে “সামরিক অভিযান” ঘোষণা করেছেন এবং যুদ্ধ শুরু না করার বৈশ্বিক আবেদনকে অস্বীকার করে রুশ সৈন্যদের ইউক্রেনে প্রবেশ করে অস্ত্র হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টার সময় রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতি জানান, ‘আমি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এরপরেই তিনি বিশ্বের দেশকেই কার্যত হুমকি দিয়ে ঘোষণা করেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার এই অভিযানের বিরোধিতা করবে যে সমস্ত দেশ তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেবে মস্কো। পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই পুতিনের এই সিদ্ধান্ত, এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ।
অন্যদিকে অবিলম্বে এই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধ করা হোক, পুতিনকে এমন বারাতাই দিয়েছেন জাতি সংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বুধবারই তিনি রুশ প্রধানকে ইউক্রেনে আক্রমণ না করার আবেদন জানিয়েছেন। গুতেরেস বুধবারই ইউক্রেন প্রসঙ্গে দ্বিতীয় জরুরি নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের ডাক দেন এবং সেখানেই তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন, আপনার সৈন্যদের ইউক্রেনে আক্রমণ করা বন্ধ করুন, শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ দিন। ইতিমধ্যেই যুদ্ধে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।’ কিন্তু জাতি সংঘ প্রধানের এই আবেদনে মোটেই সাড়া দেয়নি মস্কো। বরং তার কিছুক্ষণ পরেই সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে রাশিয়া প্রধান পুতিন ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেন।