এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

আমেরিকার চোখ রাঙানিকে অস্বীকার, জাতিসংঘে ভোট দানে বিরত দক্ষিণ এশিয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি:  রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন নিয়ে ক্রমেই দ্বিধাভক্ত হয়ে পড়েছে বিশ্ব। ইউক্রেনের বুচা শহরে নৃশংস চিত্র সামনে আসার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছে।এর জেরেই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হল। জাতিসংঘে মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে সরানো হবে কি না, এই বিষয়ে ভোটাভুটি হয়। সেখানেই মার্কিন চাপ অস্বীকার করে ভোটদানে বিরত থাকল দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশ।

রাষ্ট্রসংঘে ভোটাভুটিতে ৯৩টি দেশ রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দেয়। ২৪টি দেশ রাশিয়ার পক্ষে ভোট দেয়। ৫৮টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত ছিল। তারমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশ রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো হল ভারত, ভূটান, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলক্ষা, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ। ভারত ছাড়া বাকি দেশগুলো প্রথম থেকেই আমেরিকার মুখাপেক্ষী ছিল। সুলভে ওষুধ থেকে শুরু করে সামরিক সরঞ্জাম, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে রফতানি করত আমেরিকা

ধীরে ধীরে এশিয়াতে বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে চিন প্রভাব বিস্তার করে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো আর্থিকভাবে অনেকাংশে দূর্বল। সেখানে চিনের থেকে অনেকটাই কম মূল্যে প্রয়োজনীয় দ্রব্য হোক বা চিকিৎসা সামগ্রী আমদানি করতে পারে দেশগুলো। আমেরিকার ওপর থেকে ধীরে ধীরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নির্ভরতা কমে। অন্যদিকে, ভারত বাদে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অন্তর্বর্তী বিভিন্ন প্রকল্পে চিন কখনও প্রযুক্তিগত বা কখনও আর্থিক সাহায্য করে।

এছাড়াও এশিয়ার সব থেকে শক্তিশালী দুটো দেশ হল রাশিয়া ও চিন। সামরিক অভিযানে প্রথম থেকে চিন রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের ভোটাভুটিতে চিন সরাসরি রাশিয়াকে সমর্থন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাশিয়ার বিপক্ষে যাওয়ার অর্থ হল পরোক্ষে চিনের বিপক্ষে যাওয়া।

যেভাবে এই দেশগুলোর ধীরে ধীরে চিনের নির্ভরতা বাড়তে শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে যাওয়া মানে নিজেদের বিপদ ডেকে আনা। আকস্মিক বিদেশি হামলায় আমেরিকা থেকে সাহায্য আসার আগেই ছোট ছোট এই দেশগুলো গুড়িয়ে যাবে। নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান একেবারে প্রতিবেশী দেশ চিন। বাকি দেশগুলোতেও চিনের ওপর নির্ভরতা চরমে। তাই তো, আমেরিকার চরম চোখ রাঙানির পরেও এই ছোট্ট দেশগুলো রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দেয়নি। আমেরিকা ভারতকেও চাপে রাখার চেষ্টা করেছিল। রাশিয়া থেকে আমদানি বন্ধ করে আমেরিকা চেয়েছিল তেল থেকে সামরিক সরঞ্জাম যেন তাদের থেকে আমদানি করে ভারত। সেই রাঙানিকে অস্বীকার করে ভারত ভোটদানে বিরত ছিল।

তাই বলা যেতেই পারে, আমেরিকার চোখ রাঙানিকে আর ভয় পাচ্ছে না এই দেশগুলো। বরং আমেরিকার যাবতীয় অনুরোধ, চোখ রাঙানিকে সরিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশগুলো। আফগানিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশ রাষ্ট্রসংঘে ভোটদান থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখার সাহস দেখাতে পেরেছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পাকিস্তানে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী  বৃষ্টিপাত, মৃত ২২

রেকর্ড দামে নিলাম টাইটানিকের যাত্রীর  সোনার ঘড়ি

বিতর্কিত ভিডিওর জন্যে ৬ মাস কারাবাস, বাড়ির সামনে খুন হলেন ইরাকি টিকটকার

টর্নেডোর জেরে রাস্তায় উল্টে গেল  ট্রাক, আমেরিকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি

ইরাকের জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গুলি করে খুন

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ইস্তফা মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর