এই মুহূর্তে




চট্টগ্রাম ও যশোর সেনা ঘাঁটি রক্ষার দায়িত্ব পেল ‘গণহত্যাকারী’ পাক ফৌজ




নিজস্ব প্রতিনিধি, রাওয়ালপিন্ডি: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ‘রক্তাক্ত’ ইতিহাসকে ভুলে গণহত্যাকারী পাক ফৌজের সঙ্গে হাত মেলাল বাংলাদেশ সেনা। ভারতের সঙ্গে লড়তে দুই দেশের সেনাকে নিয়ে গঠিত হচ্ছে বিশেষ বাহিনী। পাশাপাশি ভারত সীমান্ত সংলগ্ন দুই গুরুত্বপূর্ণ সেনা ঘাঁটি রক্ষার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে পাক ফৌজকে। গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামার-উল-হাসানের বৈঠকে ও্‌ই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গিয়েছে।

গত ৫ অগস্ট পাকিস্তানপ্রেমী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিদ্রোহের মুখে প্রাণ নিয়ে ত‍ৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর পরিবর্তে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব পান পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের পোষ্যভৃত্য হিসাবে পরিচিত মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে মদত জোগানো রাজাকার বাহিনীর অন্যতম নেতা ছিলেন। ক্ষমতায় বসেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পাকিস্তান ফৌজের সহযোগী শাখা হিসাবে গড়ে তোলার কাজ করতে শুরু করেছেন। আর ওই কাজে দোসর হিসাবে পেয়েছেন জামায়াত ইসলামীর কট্টর সমর্থক হিসাবে পরিচিত সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে।

ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সেনাকে ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য তৈরি করার জন্য প্রশিক্ষণ দিতে পাক ফৌজের সঙ্গে এক চুক্তি হয়েছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ময়মনসিংহ, খুলনা ও কুমিল্লা সেনা ঘাঁটিতে বাংলাদেশি সেনাদের প্রশিক্ষণ দেবে গণহত্যাকারী পাক ফৌজ। পরে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেবে বাংলাদেশি সেনা। প্রতিটি সেনা ঘাঁটি থেকে এক হাজার করে বাছাই করা জওয়ান ও আধিকারিকদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

রাওয়ালপিন্ডিতে প্রশিক্ষণের সময় অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র কীভাবে চালাতে হয়, তা শেখানো হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান-সহ একাধিক সমরাস্ত্রও বিশেষ ধার হিসাবে দিচ্ছে পাক ফৌজ। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, চলতি বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সেনা প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাক ফৌজের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল শাহির সামশেদ মির্জা। পাক ফৌজের সেই প্রস্তাব গ্রহণ করার পাশাপাশি কীভাবে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট কামর-উল হাসানকে তড়িঘড়ি রাওয়ালপিন্ডি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ জামান।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি পাক ফৌজের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল শাহির সামশেদ মির্জার সঙ্গেও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পিএসও। ওই বৈঠকেই ভারতের সঙ্গে ‘যুদ্ধ’ল বাঁধলে বাংলাদেশ ও পাক ফৌজ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবে বলে ঠিক হয়েছে। সেক্ষেত্রে দুই দেশের সেনাকে নিয়ে বিশেষ বাহিনীও গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যুদ্ধ বাঁধলে ভারতীয় সেনা চট্টগ্রাম ও যশোর সেনা ঘাঁটিতেই প্রথম আক্রমণ চালাবে এমন আশঙ্কায় ওই দুই সেনা ঘাঁটি পাহারায় পাক ফৌজ মোতায়েনেরও সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনার প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের বৈঠকের পরে পাক ফৌজের জনসংযোগ বিভাগ আইএসপিআরের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের শীর্ষ সেনা কর্তার বৈঠকে উভয়েই সহমত পোষণ করেছেন যে, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ এবং  দুই দেশের সম্পর্ক অটুট থাকবে। এছাড়াও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের সেনাবাহিনীর পারস্পরিক আদান-প্রদান, সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের মাত্রাবৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা করেছেন  পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং বাংলাদেশের পিএসও।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পুতিনের জন্য ফোনে কথা বলতে ট্রাম্পকেও এক ঘন্টা অপেক্ষায় থাকতে হল

‘হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত থামব না’, গাজায় রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুমকি নেতানিয়াহুর

স্ট্রেচারে চেপে ড্রাগন ক্যাপসুল থেকে বেরিয়ে এলেন সুনীতা, হাত নেড়ে জানালেন অভিবাদন

৯ মাসের বেশি মহাকাশে কাটিয়ে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতারা

মঙ্গলেই প্রকাশ হচ্ছে কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে ৮০ হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি

‘আপনি আমাদের থেকে হাজারো মাইল দূরে, তবু..’, সুনীতাকে চিঠি আবেগপ্রবণ মোদির

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর