আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যাদের ঘুম বেশি, তাদেরকে মানুষ কেমন কেমন চোখে দেখে। কিন্তু এই ঘুম কারও চাকরি বাঁচিয়ে দিতে পারে। যেমন ধরুন, অফিসে শুরু হয়েছে ছাঁটাই। সামনে যার মাথা দেখছে, তাকেই কোতল। এই টুইটারের কথাই ধরা যাক। একসঙ্গে গণছাঁটাই। তা নিয়ে দুনিয়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। টুইটার কর্তা এলন যদিও টুইটার অধিগ্রহণের তাঁর সংস্থার দিব্যি খেয়ে বলেছিলেন- কারও চাকরি যাবে না। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল ঠিক উল্টোটাই হয়েছে।
এমন সময়ে এলো এক আশ্চর্য ঘটনা। এই ঘটনা টুইটারের এক ম্যানেজারকে নিয়ে। তিনি আবার সংস্থার কোনও ছোটো-খাটো দফতরের ম্যানেজার নন। তিনি টুইটারের প্রোডাকশন ম্যানেজার। নাম এসথা ক্রফোর্ড। কোম্পানিতে যখন ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সেই সময় ক্রফোর্ড অফিসের মেঝেতে লেপ-কম্বল মুড়ি দিয়ে নাক টেনে ঘুমোচ্ছিলেন। ম্যানেজারের আর কোনও খোঁজ নেই। তাঁর যে চাকরি গিয়েছে, সেটা তো তাকে নোটিশ দিয়ে জানাতে হবে। এবং সে সেই নোটিশ পেয়েছে কি না, সেটাও তো জানা দরকার। ম্যানেজারের আর খোঁজ নেই।
হঠাৎ তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির হলেন। দেখা গেল তিনি অফিসের মেঝেতে চোখ ঢেকে দিব্যি ঘুমোচ্ছেন। ক্রফোর্ড নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে সেই নিশ্চিন্তে নিদ্রা যাওয়ার ছবিও প্রকাশ করেছন। সঙ্গে ছোট্ট একটা ক্যাপশন জুড়ে দিয়েছেন –মাঝে-মধ্যে এরকম ঘুমেরও দরকার।
আরও পড়ুন পাক সরকারের একাধিক টুইটার ব্লক, ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি দশা শাহবাজের