আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লকডাউনের সময় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে (ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের ঠিকানা) বসেছিল খানা-পিনার আসর। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অভিযোগ অস্বীকার করায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। প্রধামন্ত্রী পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ক্ষমাও চেয়ে নেন। ধার্য করা জরিমানা দিতেও রাজি হন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ওই কীর্তি নিয়ে আগামী দুদিন ধরে বিতর্ক হবে। আর সেই বিতর্ক এড়াতে ভারত সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ঘটনা হল আর তাঁর সফরও দু দিনের। সফরের শেষদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিশেষ বিমানে সকালে আহমেদাবাদ পৌঁছন। তিনিই ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি আহমেদাবাদে পা রাখলেন। সফরের প্রথম দিন তিনি যাবেন গান্ধিনগর।এই খবর যখন লেখা হচ্ছে তখন তিনি সবরমতি আশ্রমে। সেখান থেকে যাবেন গুজরাত বায়োটেকনলজি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্ষরধাম মন্দিরে। একটি ভারতীয় সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার বেলার দিকে গুজরাতের বিশিষ্ট শিল্পপতিদের নিয়ে তাঁর বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে। বৈঠকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী বরিস। বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রেও বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, বিনিয়োগের মোট পরিমাণ ৭ মিলিয়ন পাউন্ড। তবে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক। ইউক্রেন নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।