আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গদি রইল বরিসের (Boris)। খোদে দলের এমপিদের আনা আস্থার পরীক্ষায় পাশ করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রস্তাবের বিরুদ্ধে (প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে) ভোট পড়ে ২১১টি। পক্ষে ১৪৮টি।
লকডাউনের সময় তাঁর সরকারি বাসভবনে পার্টি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন প্রধানমন্ত্রী বরিস (Boris)জনসন। এই নিয়ে দলের অন্দরেই ক্ষোভ ছিল চূড়ান্ত। ক্ষোভ ছিল সংখ্যগরিষ্ঠ নাগরিকদের মধ্যেও। এর সঙ্গে যুক্ত হয় দেশের আর্থিক পরিস্থিতি। কনজারভেটিভ পার্টির একাংশের মতে, দেশের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী একমাত্র প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীর বিশ্বাসযোগ্যতা তিনি হারিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী পদে বসে থাকার যোগ্যতাও নেই। সে কারণে তার দলই তাদের শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেয়।
রাজনৈতিকমহলের একাংশের মধ্যে একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল, বরিসের (Boris)গদি গেল বলে। আস্থা ভোট শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী তাঁর দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের মন বোঝার চেষ্টা করেন। দাবি করেন, এখনও তার প্রতি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন রয়েছে। সেই দাবি যে ষোলো আনার ওপর আঠারো আনা সত্যি, সেটা আস্থাভোটের পরীক্ষাতেই প্রমাণ হয়ে গেল।
ব্রিটেনের সংবিধান অনুসারে, প্রধানমন্ত্রীকে সরাতে হলে বা তাঁকে তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করতে গেলে আস্থাপ্রস্তাবের পক্ষে কনজারভেটিভ দলের ১৮০জনের সমর্থন প্রয়োজন। ভোটের ফলাফল বলছে, হয়েছে ঠিক উল্টো। বরিসের ওপরেই আস্থা রয়েছে দলের ২১১ জন এমপির।
অর্থাৎ ব্যাপারটা দাঁড়াল বিতর্ক থাকলেও বরিসেই আস্থা, বরিসেই ভরসা।
আরও পড়ুন Imran-কে খুনের ষড়যন্ত্র, ইসলামাবাদে রেড অ্য়ালার্ট