নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: নৈশভোজ সারতে রেস্তোরাঁয় যাওয়া নিয়ে বচসার জেরে নিজের স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করলেন এক বিচারক। ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরেই তদন্তে গিয়ে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ আধিকারিকদের। বিচারকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার। ৪৭টি আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি ২৬ হাজার রাউন্ড কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ জানিয়েছে, গত ৩ অগস্ট রেস্তোরাঁয় নৈশভোজে যাওয়া নিয়ে স্ত্রী শেরিল ফার্গুসনের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া আদালতের বিচারক জেফ্রি ফার্গুসন। বচসার এক পর্যায়ে ৬৫ বছর বয়সী শেরিল স্বামীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমি যদি এতই অসহ্য হয়ে থাকি, তা হলে গুলি করে মারছো না কেন?’ ওই কথা শোনার পরেই নিজের কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে স্ত্রীর বুক লক্ষ্য করে গুলি করেন ৭২ বছর বয়সী জেফ্রি ফার্গুসন। গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শেরিল। এর পরে ৯১১ নম্বরে ফোন করে স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্য চান।
ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে যায় পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। কীভাবে শেরিল গুলিবিদ্ধ হলেন তা জানতে চান জেফ্রির কাছে। যদিও তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। স্ত্রীকে বাঁচাতে ফোন করে স্বাস্থ্য কর্মীদের সাহায্য চাওয়ার পাশাপাশি সহকর্মীদের কাছে একটি টেক্সট মেসেজও পাঠান বিচারক জেফ্রি। তাতে তিনি লেখেন, ‘আমি আগামিকাল থেকে থাকব না। কেননা, আমাকে পুলিসি হেফাজতে যেতে হবে।’অরেঞ্জ কাউন্টির ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ক্রিস্টোফার অ্যালেক্স জানিয়েছেন, গ্রেফতারের সময়ে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিলেন বিচারক জেফ্রি ফার্গুসন। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই স্ত্রীর উপরে গুলি চালিয়ে থাকতে পারেন।